ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্র গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়া সমর্থন করে

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০২১
যুক্তরাষ্ট্র গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়া সমর্থন করে

ঢাকা: ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বলেছেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যত সাফল্যের জন্য গণতান্ত্রিক কাঠামো আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন। গণতন্ত্র তখনই কার্যকর হয় যখন সব মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়; তাদের অধিকার, বাকস্বাধীনতা এবং ভোটের অধিকার সুরক্ষিত থাকে।

বৃহস্পতিবার (০৯ ডিসেম্বর) কসমস ফাউন্ডেশনের ‘বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক: ভবিষ্যতের পূর্বাভাস’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল সংলাপে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রদূত মিলার।

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, বাংলাদেশ অত্যন্ত স্থিতিস্থাপকতা, প্রতিশ্রুতি এবং সম্ভাবনা নিয়ে এগিয়ে চলা একটি দেশ। কিন্তু অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে গণতান্ত্রিক উন্নয়নেও এগিয়ে যেতে হবে। গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারকে পারস্পরিকভাবে শক্তিশালী করতে শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়াসহ সব নাগরিকের জন্য মানবাধিকার এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতি বজায় রাখতে অবিরাম কাজ করতে হবে। মিলার বলেন, একটি বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে তিনি মানবাধিকার নিয়ে উদ্বেগের বিষয়গুলো সর্বোচ্চ পর্যায়ে উত্থাপন করেছেন। বাংলাদেশে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র শক্তিশালী করা তার কাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলে মনে করেন তিনি।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে’ সমর্থন করে যা বাংলাদেশি জনগণের ইচ্ছাকে প্রতিফলিত করে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সংবিধানের আলোকে ভোটার এবং অংশগ্রহণকারীদের সুরক্ষাসহ একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে।

মিলার আরও বলেন, সুস্থ গণতন্ত্রের জন্য সংবাদপত্র এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা অত্যাবশ্যক। গণমাধ্যম, সুশীল সমাজের সদস্য, বিরোধী দল এবং শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের অবশ্যই ভয় ছাড়াই তাদের মতামত প্রকাশ করতে এবং পরিবর্তনের পক্ষে সহায়তা করতে হবে। ভিন্নমতের কণ্ঠস্বর শুনতে হবে এবং সম্মান করতে হবে।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, দুটি দেশ ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্ব বজায় রেখে এই উদ্বেগগুলোর বিষয়ে যোগাযোগের মাধ্যমে মতবিরোধ করতে পারে।

অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। আলোচক প্যানেলে ছিলেন বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের (বিইআই) বিশিষ্ট ফেলো ও বোর্ড সদস্য সাবেক রাষ্ট্রদূত ফারুক সোবহান, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের (বিআইপিএসএস) প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল (অব.) আনম মুনিরুজ্জামান, কসমস ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ইমেরিটাস, সাবেক রাষ্ট্রদূত (অব.) তারিক এ করিম এবং প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান।

উদ্বোধনী বক্তব্যে এনায়েতুল্লাহ খান বলেন, গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক অনেকাংশে সমৃদ্ধ হয়েছে। তিনি বলেন, শক্তিশালী অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের সংযোগের ভিত্তিতে এটি সমৃদ্ধ হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০২১
টিআর/এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।