ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বিবেকের মুক্তির জন্য নতুন প্রজন্মকে যুদ্ধে নামতে হবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২১
বিবেকের মুক্তির জন্য নতুন প্রজন্মকে যুদ্ধে নামতে হবে

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অর্থনীতির মুক্তি মিললেও বিবেকের মুক্তির জন্য নতুন প্রজন্মকে যুদ্ধে নামার আহ্বান জানিয়েছেন দেশের পাঁচ বীর মুক্তিযোদ্ধা। এজন্য প্রথাগত শিক্ষার বাইরে গিয়ে সহশিক্ষা ও মানবিক গুণসম্পন্ন মানুষ হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

‘বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে শিশুদের জন্য চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও পাঁচ বীর মুক্তিযোদ্ধার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তারা এসব কথা বলেন। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি’র জাতীয় সঙ্গীত ও নৃত্যশালা মিলনায়তনে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) এপেক্স বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এপেক্স বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন (এবিএফ) আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদ সদস্য ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর। এবিএফ’র চেয়ারম্যান ও জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এ এস এম রকিবুল হাসান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

সংবর্ধিত বীর মুক্তিযোদ্ধারা হলেন- স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক মোহাম্মদ জাকারিয়া পিন্টু, ক্র্যাক প্লাটুনের গেরিলা যোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক শাহীন সামাদ, বীরপ্রতীক মেজর (অব.) ওয়াকার হাসান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মিনু হক।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, অর্থনীতির মুক্তির যুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অনেক দূর এগিয়েছে বাংলাদেশ। এবার বিবেকের মুক্তির যুদ্ধ শুরু করতে হবে। তাই নতুন প্রজন্মকে ক্লাসে প্রথম নয়, মানবিক হতে হবে। জিপিএ-৫ নির্যাতন থেকে তাদের রক্ষা করতে হবে। মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করা না গেলে দুনীতি, ধর্ষণ ও অবিচার থেকে সমাজকে বাঁচানো যাবে না। এজন্য প্রচলিত শিক্ষার সঙ্গে সংস্কৃতি চর্চা মুক্তির পথ হতে পারে।

শাহীন সামাদ বলেন, নতুন প্রজন্মকে গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে ক্রীড়া, শিল্প, সংস্কৃতি এবং সহশিক্ষায় আরও গুরুত্ব দিতে হবে।

নাসির উদ্দিন ইউসুফ বলেন, স্বাধীনতার এত বছর পরও আমরা সুশাসনের অপেক্ষায়। ফলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এখনও বড় ধরনের প্রশ্নের মুখে। এই অবস্থা থেকে বের হতে সাম্প্রদায়িক বিরোধ থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সংঙ্গীত পরিবেশন করবেন শিল্পী লীনু বিল্লাহ, শুভ্র দেব এবং দিনাত জাহান। এবিএফ ভাইস চেয়ারম্যান আবদুর রউফ দিলীপ অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৯ ঘণ্টা, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২১
টিআর/এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।