ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

গদখালীর ফুল চাষি-ব্যবসায়ীদের ৬ দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২২
গদখালীর ফুল চাষি-ব্যবসায়ীদের ৬ দাবি

যশোর: যশোরের ঝিকরগাছায় ছয় দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে ফুলের রাজধানী খ্যাত গদখালীর ফুল চাষি ও ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি)  বিকেলে গদখালী বাসস্ট্যান্ডে মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটি।

 

ঘণ্টাব্যাপী চলা মানববন্ধনে সহস্রাধিক ফুল চাষি ও ব্যবসায়ী অংশ নেন।  

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম, নির্বাহী সদস্য মীর বাবরজান বরুণ, ফুল ব্যবসায়ী শামীম রেজা, সেলিম রেজা, রনি আহমেদ ও শাহীন আহমেদ।

বক্তব্যে ছয়দফা দাবি তোলেন বক্তারা। দাবিগুলো হলো- 
•    গদখালীতে কেন্দ্রীয় ফুল গবেষণা কেন্দ্রের প্রকল্পটি বারির প্রস্তাবিত প্রকল্প অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পূর্বক দ্রুত বাস্তবায়ন 
•    ফুল সেক্টরের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে ফুল গবেষণা কেন্দ্রের প্রকল্পটি যথাযথ বাস্তবায়ন 
•    ফুলের গুণগত মান উন্নয়ন ও দেশি-বিদেশি বাজার ব্যবস্থা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ফুল প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র ও কোল্ডস্টোরেজের কার্যক্রমটি দ্রুত চালুর ব্যবস্থা
•    চুক্তির দোহাই দিয়ে নয়, বাস্তবতার নিরিখে ফুল প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রটি অতি দ্রুত চালু করা
•    কৃষকের ফুল ও ফুলের বীজ সংরক্ষণজনিত ক্ষতির কথা চিন্তা করে দ্রুত কোল্ডস্টোরেজ চালুর ব্যবস্থা করা 
•    ফুল প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রের অবকাঠামোগত অবশিষ্ট কার্যক্রম বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করা।

মানববন্ধনে  বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, ফুল গবেষণা ফুল সেক্টরের জন্য খুবই প্রয়োজন। দেশের ফুল চাষিরা ফুলের বীজ চারা বিদেশ নির্ভর। এছাড়াও বিদেশে ফুলের নানা মাত্রিক ব্যবহার সেই তুলনায় আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। তিনি আরও বলেন, ২০১৫ সালে কেন্দ্রীয় ফুল গবেষণা কেন্দ্র তৈরি করতে প্রকল্প জমা দেওয়া হয়। ২০১৭ সালে প্রকল্পটি তৈরি করে যথাযথ মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়। পরে গত বছরের ২০ ডিসেম্বর পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এক সভায় এ প্রকল্প নিয়ে কিছু অসঙ্গতির অভিযোগ তোলেন কর্মকর্তারা। এতে ফুল গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন ও ফুল প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রটি চালু হওয়া আটকে যায়। প্রকল্পটি যেনো কোনোভাবেই আটকে না যায় সে কারণে তারা রাস্তায় নেমেছেন বলে জানান তিনি।

ফুল ব্যবসায়ী রনি আহমেদ বলেন, ফুল উৎপাদন, বাজার ব্যবস্থা আধুনিকরণ, ফুল সেক্টরে টেকসই উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় কেন্দ্রীয় ফুল গবেষণা কেন্দ্রের প্রকল্পটির দ্রুত বাস্তবায়নসহ ফুল প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র ও কোল্ডস্টোরেজের কার্যক্রম চালু করতে হবে। না হলে আমরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বো।


বাংলাদেশ সময়: ১১২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২২
ইউজি/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad