ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সভাপতির সই জাল করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২২
সভাপতির সই জাল করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার সোনাপাতিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির (এসএমসি) সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে আব্দুর রহিম গাজি নামে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের এসএমসির সভাপতি শের আলী পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে গত ২০ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা উল্লেখ করে পৃথক লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সোনাপাতিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম গাজি বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম প্রহরী আফতাবুর রহমানের সহায়তায় সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে সোনালী ব্যাংক আটোয়ারী শাখা থেকে ছয়টি চেকের মাধ্যমে ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকা উত্তোলন করে তা আত্মসাৎ করেছেন।

বিদ্যালয়ের এসএমসির সভাপতি শের আলী অভিযোগ করে বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে এসএমসির কোনো রকম মাসিক সভা না করে এমনকি কমিটির কোনো সদস্যকে না জানিয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম গাজি বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম প্রহরী আফতাবুর রহমানের সহায়তায় আমার স্বাক্ষর জাল করে সোনালী ব্যাংক, আটোয়ারী শাখায় সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর-১৯০২১০০০০০৮২৪২ থেকে বিভিন্ন সময় ছয়টি চেকের মাধ্যমে মোট ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকা উত্তোলন করে সম্পূর্ণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এ ব্যাপারে কমিটির কোনো সদস্য অবগত নেই। আমরা এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছি।

এ বিষয়ে আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুসফিকুল আলম হালিম বাংলানিউজকে বলেন, এসএমসির সভাপতির স্বাক্ষরিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে শিক্ষা অফিসারকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ছাইফুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, এ সম্পর্কিত একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহের অনুকূলে বিভিন্ন ফান্ডে সরকারি অনুদান প্রাপ্ত হয়। ওই অনুদানের টাকা আমরা স্ব-স্ব বিদ্যালয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠাই। পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের দৃশ্যমান উন্নয়নমূলক কাজ করে এসএমসির সভায় উপস্থাপন করে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের যৌথ স্বাক্ষরে ব্যাংক থেকে টাকা ওঠানোর নিয়ম রয়েছে।

এদিকে প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম গাজির সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম প্রহরী আফতাবুর রহমান বলেন, প্রধান শিক্ষক আমাকে চেক দিয়েছে আমি ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে প্রধান শিক্ষক স্যারকে দিয়েছি। জাল স্বাক্ষরের ব্যাপারে আমি কিছু জানি না।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘন্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।