ঢাকা, সোমবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

গাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা! 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২২
গাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা!  গাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা

ফরিদপুর: ফরিদপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে শারীরিক এক প্রতিবন্ধীর লাগানো গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। জেলার নগরকান্দায় উপজেলার চরযশোরদী ইউনিয়নের ছোট শ্রীবর্দী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালের দিকে নগরকান্দা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল ইসলাম বিশ্বাস বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।  

এ সময় তিনি জানান, জমির নিয়ে বিরোধের জের ধরে গাছ কেটে ফেলা হয়েছে মর্মে শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) নগরকান্দা থানায় অভিযোগ করেছেন একই গ্রামের মৃত খোরশেদ মোল্যার ছেলে হেমায়েত মোল্যা। তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী।  

অভিযোগ থেকে এবং সরেজমিনে জানা গেছে, ছোট শ্রীবর্দী গ্রামের হেমায়েত মোল্যা এবং ছলেমান মোল্যার সঙ্গে একই গ্রামের মৃত আবদুল মালেক শেখের ছেলে জাহাঙ্গীর শেখ ও রবিউল শেখ এবং মৃত তারা মাতুব্বরের ছেলে মামুন মাতুব্বরের জমি-জমার ভোগ দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে হেমায়েত মোল্যা ও ছলেমান মোল্যার বাড়ির পাশের কয়েকটি মেহগনি এবং আম গাছের চারা কেটে ফেলেছে প্রতিপক্ষরা।

হেমায়েত মোল্যার ভাই ছলেমান মোল্যা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে ছোট শ্রীবর্দী গ্রামের এই বাড়িতে বসবাস করছি। আমাদের ক্রয়কৃত এই জমি, গায়ের জোরে দখল করতে চাচ্ছে, ছোট শ্রীবর্দী গ্রামের মৃত তারা মাতুব্বরের ছেলে মামুন মাতুব্বরসহ কয়েকজন। তারা বিভিন্ন সময় আমাদের হুমকি ধামকি দিচ্ছে, ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে আমাদের বাড়ির পাশের কয়েকটি মেহগনি ও আমগাছের চারা কেটে ফেলেছে প্রতিপক্ষরা। সেই রাতে গাছের চারা কাটতে আমি দেখে ফেলায়, তারা এ সময় পালিয়ে যায়।

হেমায়েত মোল্যা বলেন, জমি-জমার ভোগ দখল নিয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। আমাদের ঘরের চালে প্রায় রাতে তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে, আমাদের ভয়ভীতি দেখায়। তারা শত্রুতা করে রাতে আমাদের বাড়ির পাশের কয়েকটি মেহগনি ও আম গাছের চারা কেটে ফেলেছে। আমরা এর উপযুক্ত বিচার দাবি করছি।  

এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে, অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর শেখ, রবিউল শেখ এবং মামুন মাতুব্বরের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।

নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিল হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২২
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।