ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

প্রেমিকের হাত ধরে বাংলাদেশে, ৮ মাস পর ভারতে ফেরত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২
প্রেমিকের হাত ধরে বাংলাদেশে, ৮ মাস পর ভারতে ফেরত

চুয়াডাঙ্গা: প্রেমের টানে প্রেমিকের হাত ধরে বাংলাদেশে চলে আসে ভারতীয় এক তরুণী। এরপর তার খোঁজ শুরু করে দু দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

একপর্যায়ে তরুণীকে উদ্ধার করা হয় বাংলাদেশের রংপুর জেলা থেকে। তখন থেকেই সেফহোমে রাখা হয় তাকে। টানা ৮ মাস পর সেফহোম থেকে পাঠানো হয় নিজ দেশ ভারতে। ঘটে প্রেমের পরাজয়।

মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে প্রীতি পণ্ডিত নামে ওই তরুণীকে ভারতীয় থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে বাংলাদেশ পুলিশ। প্রীতি পণ্ডিত ভারতের নদীয়া জেলার ভাটগংলা গ্রামের মন্টু পণ্ডিতের মেয়ে।

জানা গেছে, গত বছরের ২৪ জুন ভারত থেকে নিখোঁজ হন প্রীতি। এরপর তিনি বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। সেখান থেকে পারি জমান প্রেমিক মিলনের বাড়ি রংপুর জেলার পালিচরা গ্রামে। সেসময় নদীয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। এরপর থেকেই প্রীতিকে উদ্ধারে খোঁজাখুঁজি শুরু করে দুদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। অবশেষে ২৬ জুন রংপুরে প্রীতির সন্ধান মেলে। তখন তাকে রাখা হয় রংপুর শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে। সেখানে কেটে যায় ৮ মাস।

পরিবারের বরাত দিয়ে বাংলাদেশের সিআইডি জানায়, বাংলাদেশি নাগরিক মিলন অবৈধভাবে ভারতে গিয়ে কৃষ্ণনগর শহরে কাজ করতো। একই এলাকায় থাকার সুবাদে ভারতীয় নাগরিক প্রীতির সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সম্পর্ক ধরেই ২০২১ সালের ২১ জুন সকালে ভারত থেকে নিখোঁজ হয় প্রীতি।

রংপুরের সিআইডির পরিদর্শক এনায়েতুর রহমান জানান, গত বছরের ২৬ জুন সকালে রংপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশ উদ্ধার করে প্রীতিকে। সেই থেকে তাকে রাখা হয় রংপুর শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে।  

জানা যায়, প্রেমিক মিলনের হাত ধরে বেনাপোল বর্ডার দিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসে প্রীতি। প্রীতিকে উদ্ধারের পর তার প্রেমিক মিলন (২২) ও তার সহযোগী হাবিবুরের (২৩) নামে মানব পাচার আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ। পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এরপর তারা জামিনে মুক্ত হয়। এদের বাড়ি রংপুর সদরের পালিচরা এলাকায়।

মঙ্গলবার প্রীতিকে হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন ভারতের পক্ষে বিএসএফর গেঁদে কোম্পানি কমান্ডার অশোক মেহি, ইমিগ্রেশন ইনচার্জ গোপাল চন্দ্র দে, কাস্টমস ইন্সপেক্টর অজয় নারায়ণ, কৃষ্ণগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর বাপিন মুর্খাজি, ডিআইও সাধন মণ্ডল, মানবাধিকার কর্মী চিত্তরঞ্জন দে। বাংলাদেশের পক্ষে ছিলেন বিজিবির আইসিপি কমান্ডার সুবেদার শহিদুল ইসলাম, দর্শনা ইমিগ্রেশন ইনচার্জ এসআই আব্দুল আলীম, দর্শনা থানার এসআই হারুন অর রশীদ, রংপুর সিআইডি ইন্সপেক্টর এনায়েতুর রহমান ও এসআই রাব্বি।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।