ঢাকা, সোমবার, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০৮ জুলাই ২০২৪, ০০ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নির্বাচন ২০ মার্চ, বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১১ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০২২
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নির্বাচন ২০ মার্চ, বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নির্বাচন ২০ মার্চ।

ঢাকা: শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নির্বাচন হবে আগামী ২০ মার্চ। ৫ বছর পর অনুষ্ঠিত এবারের নির্বাচনে একাধিক প্যানেল অংশ নিচ্ছে।

১২০টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

শিক্ষা সমিতির নির্বাচনে ‘আজমতগীর-জাফর’ প্যানেলের (ব্যালট-খ) পরিচিতি সভা ও নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা উপলক্ষে শনিবার (৫ মার্চ) ঢাকা কলেজে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) গুরুত্বপূর্ণ পদ ব্যবহার করে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ করা হয়। এই প্যানেলে প্রার্থীদের অভিযোগ, মাউশির একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে প্রার্থী হয়ে কলেজের অধ্যক্ষও শিক্ষকদের ওপর প্রভাব বিস্তার করা হচ্ছে। ‘আজমতগীর-জাফর’ প্যানেলের নির্বাচনী প্রচারের কাজে বাঁধা দিচ্ছে। এই নির্বাচনে মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক শাহেদুল খবীর চৌধুরী সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন। এটি মাউশির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদ।

সম্মেলনে ‘আজমতগীর-জাফর’ প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক অলিউল্লাহ মো. আজমতগীর বলেন, আমরা বিভিন্ন স্থানে বাঁধার সম্মুখীন হচ্ছি। তবে সব বাধা পেরিয়ে আমরা সামনে এগিয়ে যেতে চাই।

মহাসচিব প্রার্থী রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ জাফর আলী বলেন, শিক্ষা ক্যাডার আজ পেশাগত ও সাংগঠনিক সমস্যায় জর্জরিত। চরম হতাশায় রয়েছে শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা। ক্ষুদ্র গোষ্ঠী স্বার্থে সংগঠনকে কুক্ষিগত করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। এই গোষ্ঠীর হাত থেকে সংগঠনকে মুক্ত করতে চাই।

ঢাকা মহানগরের যুগ্ম সম্পাদক প্রার্থী পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের যুগ্ম পরিচালক বিপুল চন্দ্র সরকার বলেন, বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা প্রার্থী যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা দেখেই নির্বাচিত করবেন।

ইশতেহার: শিক্ষা ক্যাডারের সমস্যা সমাধানে সবার মতামতের উপর ভিত্তি করে অগ্রাধিকার বিবেচনায় ১০০ দিনের কর্মসূচি প্রণয়ন; ২০১৫ সালের পে-স্কেল আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গঠিত কোর কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী পদ আপগ্রেডেশন ও পদ সৃষ্টির জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করা। যথাসময়ে পদোন্নতি নিশ্চিত করতে ১৯৮৭ সালের সমীক্ষা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী পদ সৃষ্টির ব্যবস্থা করা। পদোন্নতির শর্ত পূরণকারী সব সদস্যের অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপক পদে দ্রুত পদোন্নতির ব্যবস্থা নেওয়া।

বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০২২
এমআইএইচ/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।