ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ মে ২০২৪, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

৭ মার্চের ভাষণ বাঙালি জাতির অনুপ্রেরণা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৭ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০২২
৭ মার্চের ভাষণ বাঙালি জাতির অনুপ্রেরণা

রাজশাহী: রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ গোটা বাঙালি জাতির অনুপ্রেরণা।  

তিনি বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ শুনতে সেদিন একটি মানুষও অমনোযোগী ছিলেন না।

৫১ বছর পরও সবাই মনযোগের সঙ্গে তার ভাষণ শুনছেন। তার বক্তব্যের প্রতিটি শব্দ ব্যাকরণের মতো। যারা বৃদ্ধ হয়ে গেছেন, বয়সের ভারে নুয়ে গেছেন তাদের যদি ৭ মার্চের ভাষণ শোনানো হয় তারাও উজ্জীবিত হয়ে ওঠেন।  

সোমবার ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার এ কথা বলেন। দিবসটি উপলক্ষে রাজশাহী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ‘৭ মার্চ: স্বাধীনতার জীয়নকাঠি’ শীর্ষক এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক মো. আবদুল জলিল।  

ঐতিহাসিক ৭ মার্চের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে প্রধান অতিথি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বিশ্বনন্দিত নেতা তার অলিখিত ভাষণের মাধ্যমে বাঙালির হৃদয়-স্পন্দনে প্রবেশ করেছিলেন। তিনি জনতার মনের ভাষা বুঝতে পেরেছিলেন। তাই তিনি বলেছিলেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।

বঙ্গবন্ধু এদিনই স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, তোমরা ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোলো, যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর ডাকেই বাংলার জনতা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে উদ্বুদ্ধ বাঙালি জাতি পাকিস্তানি শত্রুদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ছিনিয়ে আনে লাল-সবুজের পতাকা। বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি বিলাশবহুল গাড়িতে ছিল না, তার রাজনীতি ছিল মাঠে-ঘাটে জনতার সঙ্গে একাত্ম হয়ে। তিনি জনতাকে আগুনের মুখে রেখে পালিয়ে যাননি। তিনি বাংলার মানুষের ন্যায্য দাবি আদায়ে ছিলেন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। সে কারণে বঙ্গবন্ধুর ওপর জনগণের বিশ্বাস ছিল অপরিসীম। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু রেসকোর্স ময়দানে ১০ লাখ জনতাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন আমার ওপর তোমাদের বিশ্বাস আছে, সবাই একযোগে বলেছিল হ্যাঁ আছে।

সভায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মলয় ভৌমিক সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এছাড়া পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি জয়দেব কুমার ভদ্র, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. সুজায়েত ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সালেহ মো. আশরাফুল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, ডা. মো. আব্দুল মান্নান বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

আলোচনা সভা শেষে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমি আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার ও সনদ তুলে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০২২
এসএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।