ঢাকা, বুধবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘মিসাইল তৈরির খবর খতিয়ে দেখতে বেইজিংয়ে বার্তা পাঠাব’

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১০ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২২
‘মিসাইল তৈরির খবর খতিয়ে দেখতে বেইজিংয়ে বার্তা পাঠাব’

ঢাকা: ‘বাংলাদেশে মিসাইল তৈরির কারখানা করেছে চীন’—জাপানি সংবাদমাধ্যম নিক্কিতে প্রকাশিত এমন খবর প্রসঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, এরকম খবর খতিয়ে দেখার জন্য বেইজিংয়ে বার্তা পাঠাবো। চীন কখনো অন্য কোনো দেশের ভেতরে সামরিক সরঞ্জাম রক্ষণাবেক্ষণ স্থাপনা তৈরি করে না।

তবে কোনো দেশ সামরিক সরঞ্জাম রক্ষণাবেক্ষণে সহায়তা চাইলে, চীন সহায়তা দিয়ে থাকে বলে জানান চীনা রাষ্ট্রদূত।

রোববার (১৩ মার্চ) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস আয়োজিত ‘স্প্রিং ডায়ালগ উইথ চায়না’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে একথা বলেন লি জিমিং।

ইংরেজি দৈনিক বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড ও ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিকাব) অনুষ্ঠানের সহ-আয়োজক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের সম্পাদক ইনাম আহমেদ।

ইউক্রেন ইস্যুতে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়েই চীনের বন্ধু। আমরা উভয় দেশকেই পরামর্শ দেই আলোচনায় বসে এই সংকটের সমাধান করা প্রয়োজন। এই ইস্যুতে বাংলাদেশ ও চীনের অবস্থা প্রায় একই ধরনের। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সংকটের সমাধান চাই।

চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ইন্দোপ্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি কোয়াডসহ এই অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বিভিন্ন উদ্যোগের বিরোধিতা করে আসছে চীন। এসব উদ্যোগ নিয়ে বাংলাদেশ বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত নেবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।

লি জিমিং বলেন, উইগুরে মুসলিম নির্যাতনের ঘটনা বলে পশ্চিমারা অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। উইগুর ইস্যুতে জাতিসংঘের তদন্ত উদ্যোগকে স্বাগত জানায় চীন।

তিনি বলেন, চীন রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান চায়। রাখাইনে নিরাপদ পরিবেশ তৈরিতে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে চীন।

চীনা রাষ্ট্রদূত আর বলেন, বাংলাদেশে বৃহৎ প্রকল্প নির্মাণে ভূমি অধিগ্রহণ একটি বড় সমস্যা। চীনা প্রকল্পগুলো এই সমস্যা ফেস করছে। কর্ণফুলী টানেল, পদ্মা সেতুর মতো বৃহৎ প্রকল্প সফলভাবে সম্পন্ন হতে চলেছে। পদ্মা সেতু আগামী জুনে চালু হবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।

জাপানি সংবাদমাধ্যম নিক্কিতে প্রকাশিত খবর ‘বাংলাদেশে মিসাইল তৈরির কারখানা করেছে চীন’—এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, এরকম খবর খতিয়ে দেখার জন্য বেইজিংয়ে বার্তা পাঠাবো। চীন কখনো অন্য কোনো দেশের ভেতরে সামরিক সরঞ্জাম রক্ষণাবেক্ষণ স্থাপনা তৈরি করে না। তবে কোনো দেশ সামরিক সরঞ্জাম রক্ষণাবেক্ষণে সহায়তা চাইলে, চীন সহায়তা দিয়ে থাকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০১ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২২
টিআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।