ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

তিনদিনের ছুটিতে বাড়ি ফেরার হিড়িক

ইমতিয়াজ আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২২
তিনদিনের ছুটিতে বাড়ি ফেরার হিড়িক

মাদারীপুর: টানা তিনদিনের ছুটিতে রাজধানী থেকে বাড়ি ফিরছেন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ।  

বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) ভোর থেকেই ঘরে ফেরা মানুষের উপচে পড়া ভিড় রয়েছে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে।

লঞ্চ, ফেরি ও স্পিডবোট ঘাটে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ পড়েছে।  

শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে নেমে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার বাসে উঠতেও যাত্রীদের ছিল দীর্ঘ লাইন। এছাড়া শিমুলিয়া থেকে স্পিডবোটে উঠতে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে যাত্রীদের। ফেরি চলাচল সীমিত থাকায় পর্যাপ্ত যানবাহন পারাপার করা যাচ্ছে না। ফলে ছোট যানবাহনের ভিড় রয়েছে ফেরিঘাটেও। এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থলপথে টুঙ্গিপাড়া যাওয়ায় নিরাপত্তাজনিত কারণে ভোর থেকে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত লঞ্চসহ নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ বাংলাবাজার লঞ্চঘাট কর্তৃপক্ষ।

বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে ছুটি। সেই সঙ্গে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। টানা তিনদিনের ছুটি থাকায় বুধবার অফিস শেষে বিকেল থেকেই ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়ে নৌরুটে। লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাটে ছিল যাত্রীদের ভিড়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেও যাত্রীদের ভিড় লেগে রয়েছে।  

ঘরমুখো যাত্রীরা জানিয়েছেন, যাত্রীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় প্রতিটি লঞ্চেই অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হচ্ছে। গাদাগাদি করে যাত্রীদের উঠানো হচ্ছে লঞ্চে।


বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বাংলাবাজার লঞ্চঘাট সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ঘরমুখো মানুষের চাপ বেশি রয়েছে। যাত্রীদের বেশির ভাগই ঢাকা থেকে আসছে। এজন্য শিমুলিয়া প্রান্তের লঞ্চে যাত্রী বেশি। বাংলাবাজার থেকে ১০ মিনিট পর পর লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছে শিমুলিয়ার উদ্দেশে। কোনো কোনো লঞ্চে যাত্রী বেশি হলেও তা সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। মূলত যাত্রীদের চাপ হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় এ রকম হচ্ছে।

বাংলাবাজার স্পিডবোট ঘাট সূত্র জানিয়েছে,বৃহস্পতিবার সকাল থেকে স্পিডবোটে যাত্রীচাপ বেড়েছে। অন্যান্য দিনের চেয়ে বৃহস্পতিবার স্পিডবোটে বেশি যাত্রী পার হচ্ছে। বাংলাবাজার থেকে যাত্রীশূন্য স্পিডবোটও শিমুলিয়া ঘাটে পাঠানো হচ্ছে।

ঢাকা থেকে আসা স্পিডবোটের যাত্রী মো. আবু সালেহ বলেন, এক ঘণ্টা স্পিডবোটে ওঠার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। ঢাকায় কর্মরত অনেকেই ছুটিতে আজ বাড়ি যাচ্ছেন। তাছাড়া সকালের দিকে কিছু সময় নৌ চলাচল বন্ধ ছিল। এ কারণে চাপ পড়েছে।

স্পিডবোটে পার হয়ে আসা অপর যাত্রী তানজিল চৌধুরী বলেন, ঘাটে উপচে পড়া ভিড়। শিমুলিয়া থেকে স্পিডবোট ১৭০ টাকা করে টিকিট বিক্রি হচ্ছে। স্পিডবোটে ওঠার পর বোটের চালক আবার আরও ১০০ টাকা দাবি করছেন। যাত্রীদের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডাও লেগে যাচ্ছে মাঝে মধ্যে। সব মিলিয়ে নৌরুটে বেশ ভিড় আর নৌযানে উঠতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

ফারহানা আক্তার নামের এক লঞ্চযাত্রী বলেন, লঞ্চে উঠে একটু বসার জায়গা পাইনি। হাঁপিয়ে উঠেছি। তাছাড়া আজ বেশ গরমও। যাত্রীদের চাপ বেড়ে যাওয়ায় লঞ্চেও গাদাগাদি অবস্থা।

বিআইডব্লিউটিএ-এর বাংলাবাজার লঞ্চঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বলেন, তিনদিনের ছুটি থাকায় নৌরুটে ভিড় বেড়েছে সকাল থেকে। এদিকে প্রধানমন্ত্রী এ নৌরুট দিয়ে টুঙ্গিপাড়া গেছেন সকালে। তখন নিরাপত্তা জনিত কারণে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত নৌযান চলাচল বন্ধ ছিল। এখন নৌরুট স্বাভাবিক। ভিড় থাকলেও যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্যে পার হচ্ছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।