ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

নারায়ণগঞ্জ থেকে লঞ্চ চালুর দাবি মালিক সমিতির

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২২
নারায়ণগঞ্জ থেকে লঞ্চ চালুর দাবি মালিক সমিতির সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতি নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি বদিউজ্জামান বাদল।

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধের নির্দেশনা দেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতি নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার নেতারা।

সোমবার (২১ মার্চ) দুপুরে লঞ্চ টার্মিনালে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি বদিউজ্জামান বাদল।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান রাজা, সহ-সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান দুদু, সহ-সভাপতি নুরুল আমিন কাজল, কার্যকরী সদস্য আলমগীর মিয়া, আবুল হোসেন, মোহাম্মদ হোসেন প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে বদিউজ্জামান বাদল বলেন, শীতলক্ষ্যা নদীতে দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হচ্ছে নদীর প্রশস্ততা কমে যাওয়া এবং নদীর উভয় তীরে গড়ে উঠা অসংখ্য কলকারখানার জাহাজগুলো এলোপাথারি বার্থিং। এছাড়া শীতলক্ষ্যা নদী দিয়ে বালুবাহী বাল্কহেড চলাচলও অনেক বেড়েছে। তবে নদীতে ট্রাফিক কন্ট্রোল চালু হয়নি। যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটলেই সব দোষ শুধুমাত্র লঞ্চ চালক, শ্রমিক ও মালিকদের ওপর চাপানো হয়। ইতোপূর্বে শীতলক্ষ্যা নদীতে যে পাঁচটি লঞ্চডুবির ঘটনা ঘটেছে তাতে প্রথমে বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। প্রতিটি মামলাতেই জাহাজের মালিকপক্ষকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এতে মনে হচ্ছে তারা ম্যানেজ মামলা দায়ের করেছে। উপরন্তু যাদের ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছে সেসব লঞ্চ মালিকপক্ষকেও আসামি করা হয়েছে। আমরা মামলা দায়ের করতে চাইলেও আমাদের মামলা নেওয়া হয়নি।

তিনি বলেন, সোমবার সকালেও ডুবে যাওয়া লঞ্চটির মালিক দিল মোহাম্মদের ছেলে মো. আল ইসলাম বন্দর থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে তার মামলার আবেদন পুলিশ গ্রহণ করেনি। এতে মনে হচ্ছে বিআইডব্লিউটিএ নাটক করছে। গেল বছরেও লঞ্চডুবির ঘটনায় বিআইডব্লিউটিএ মামলা দায়ের করলেও সেই মামলা কিন্তু আপস পর্যায়ে চলে গেছে। আপনারা অনেকেই গতকালের লঞ্চটি ডুবে যাওয়ার ভিডিও ফুটেজ দেখেছেন। যদি কার্গো জাহাজটি বেকার দিতো অর্থাৎ স্পিড কম করতো তাহলে ওই লঞ্চটি ডুবতো না। আমাদের লঞ্চগুলোর শতভাগ ফিটনেস ছিল। ফিটনেস ছাড়া কোনো লঞ্চ চলাচলের অনুমতি নেই।

লঞ্চগুলোকে কেন আধুনিকায়ন করা হচ্ছে না এমন প্রশ্নে বদিউজ্জামান বাদল বলেন, আগে কাঠের বডিগুলো পাল্টে স্টিলের বডি করা হয়েছে। তবে আমাদের সরকারের কোনো সংস্থা সহযোগিতা করেনি। সরকারের তরফ থেকে সহযোগিতা পেলে আমরাও লঞ্চগুলোকে আধুনিক করতে চাই। কিন্তু আমাদের কোনো ধরনের নির্দেশনা না দিয়ে আকস্মিক বলপূর্বক সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই নদীতে পণ্যবাহী জাহাজ কোস্টার বাল্কহেড ও যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচলের জন্য রিভার ট্র্যাক করা হোক। এর আগেও রিভার ট্র্যাকের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হলেও তা, ওই পর্যন্তই। কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়নি। নারায়ণগঞ্জ থেকে সাতটি রুটে ৭০টি লঞ্চ চলাচল করে থাকে। এর মধ্যে দুটি রুট নাব্যতা সঙ্কটে বন্ধ হয়ে গেছে। বাকি পাঁচটি রুট সচল ছিল। এসব লঞ্চের প্রতিটিতে আটজন শ্রমিক করে পাঁচ শতাধিক শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন। লঞ্চ চলাচলের অনুমতি না দিলে এসব শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়বে। এজন্য আমরা অতিদ্রুত লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দাবি করছি।

নারায়ণগঞ্জের লঞ্চগুলোকে আধুনিকায়নের জন্য সরকারের সহযোগিতা চাই। পাশাপাশি লঞ্চ শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে দাবি জানান লঞ্চ মালিক সমিতি নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার নেতা বাদল।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২২
এমআরপি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।