ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ মে ২০২৪, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

২৭ মার্চ থেকে রাজশাহী-রংপুর বিভাগে পরিবহন ধর্মঘট

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২২
২৭ মার্চ থেকে রাজশাহী-রংপুর বিভাগে পরিবহন ধর্মঘট ফাইল ফটো

রাজশাহী: আগামী ২৭ মার্চ ভোর ৬টা থেকে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। এ ধর্মঘটে যাত্রীবাহী বাস, মালবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, মাইক্রোবাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা বন্ধ থাকবে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগীয় আঞ্চলিক কমিটির পক্ষ থেকে এ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) বিকেলে রাজশাহীর শিরোইল বাস টার্মিনালে জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। এতে ফেডারেশনের রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব আলী অনির্দিষ্টকালের এ ধর্মঘটের ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত বছরের ২৬ মার্চ রাজশাহীর কাটাখালিতে হানিফ এন্টারপ্রাইজ যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৭ জন নিহত হন। এ ঘটনায় গ্রেফতার বাসচালকের এখনও জামিন দেওয়া হয়নি। অথচ তার জামিনের দাবিতে ফেডারেশনের নেতারা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে।

হানিফ এন্টারপ্রাইজের বাসচালকের জামিনের দাবিতে এর আগে গত ১৫ মার্চ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগীয় আঞ্চলিক কমিটির উদ্যোগে রাজশাহীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। পর দিন জেলা প্রশাসক আবদুল জলিলের কাছে একই দাবিতে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা এজন্য আজ পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। তারা বলেছিলেন, এর মধ্যে ওই বাসচালকের জামিন না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য দুই বিভাগে ধর্মঘট শুরু হবে। তাই আজও রাজশাহীর আদালতে বাসচালক আবদুর রহিমের জামিনের আবেদন করা হয়। কিন্তু আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন। তাই এ দুই বিভাগের শ্রমিক নেতারা সর্বসম্মতিক্রমে রাজশাহী ও রংপুরে আগামী ২৭ মার্চ থেকে নির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা ট্রাক ও ট্যাংক লরি এবং কাভার্ড ভ্যান সমিতির সহ-সভাপতি হারুন-অর-রশীদ ছাড়াও শ্রমিক ইউনিয়ন মাইক্রো শাখা, জেলা মিশুক ও সিএনজি মালিক সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ রাজশাহীর কাটাখালিতে হানিফ এন্টারপ্রাইজের বাসের ধাক্কায় মাইক্রোবাসে আগুন ধরে যায়। এতে মাইক্রোবাসেই জীবন্ত পুড়ে ১৭ জনের মৃত্যু হয়। পরে এ ঘটনায় মামলা হয়। এছাড়া তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, বেপরোয়া গতিতে বিপজ্জনক ওভার টেকিং করে হানিফ এন্টারপ্রাইজ বাস। এ কারণেই সড়কে জীবন্ত মানুষগুলো পুড়ে ছাই হয়ে যান।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২২
এসএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।