ঢাকা, সোমবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

জয় বাংলা স্লোগান ছিল মুক্তিযুদ্ধে আমাদের অস্ত্র: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০২২
জয় বাংলা স্লোগান ছিল মুক্তিযুদ্ধে আমাদের অস্ত্র: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নবাবগঞ্জ (ঢাকা): স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলছেন, জয় বাংলা স্লোগান ছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অস্ত্র আর পাকিস্তান আর্মিদের হৃৎকম্পন। আমাদের সেই জয় বাংলা স্লোগান শুনলইে দালালরা ভয়ে পালাতো।

 

শনিবার (২ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে ঢাকার দোহার উপজেলার মুকসুদপুর পদ্মা কলেজের মাঠে পদ্মা কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছরে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। আর তখনই অশুভ শক্তি পাকিস্তানি প্রেত্মারা তাকে হত্যা করে উন্নয়ন প্রক্রিয়া গতিরোধ করতে চেষ্টা করে। কিন্তুু লাভ হয়নি। আজ ঘরে বসে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আমাদের সন্তানরা পড়াশোনা করছে। কিন্তু অপব্যবহারকারীদের থেকে নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের সতর্ক থাকতে হবে। তাদের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে। আমাদের এ দেশটাকে একমাত্র নতুন প্রজন্মরাই সমুন্নত রাখতে পারবে। এ নতুন প্রজন্মরাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবে।  

‘বাংলাদেশের জন্য ৩০ লাখ মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাৎবরণ করেছিলেন। সেই রক্তে, কে হিন্দু? কে মুসলমান? বা কে খ্রিস্টান? তা আমরা জানি না। আমরা জানি রক্তে রঞ্জিত বাংলাদেশে আমরা সবাই এক জাতি। ’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলনে, আমরা জয় বাংলা স্লোগানটি জাতীয় স্লোগানে পরিণত করেছি। এ এলাকার সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান এ স্লোগানকে রাষ্ট্রীয় স্লোগানে পরিণত করেছেন। তাকে ধন্যবাদ জানাই।   

দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোবাশ্বের আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পদ্মা কলেজের গভর্নিং বোর্ডের সভাপতি ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. এ আর খান।  

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন সরদার, সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার আফসারুজ্জামান খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সাইদুর রহমান (খোকা), জাহাঙ্গীর আলম আখন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মোন্নাফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রউফ, দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন, অ্যাডভোকেট একে এম আজিজুর রহমান, অধ্যাপক এম এ হান্নান, এম এ রহিম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ০১২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০২২
আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।