ঢাকা, রবিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১২ মে ২০২৪, ০৩ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

সুনামগঞ্জে ভাঙলো আরও বাঁধ, তলিয়ে যাচ্ছে ফসল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২২
সুনামগঞ্জে ভাঙলো আরও বাঁধ, তলিয়ে যাচ্ছে ফসল

সুনামগঞ্জ: ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের নদ-নদীর পানি বেড়ে গেছে। এতে পানির তোড়ে ভেঙে গেছে জেলার আরও পাঁচটি ফসলরক্ষা বাঁধ।

মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে ঢলের পানিতে শাল্লা ও ধর্মপাশা উপজেলার পাঁচটি বাঁধ উপচে হাওরে পানি প্রবেশ করেছে। পানি উপচে ঢোকার কিছুক্ষণ পরেই বাঁধ গুলো ধীরে ধীরে ভাঙতে থাকে।  

এরই মধ্যে শতাধিক হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে বলে জানা যায়।

বিষয়টি বাংলানিউজকে যৌথভাবে নিশ্চিত করেছেন শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তালেব ও ধর্মপাশার ইউএনও মো. মুনতাসির হাসান।

জানা যায়, সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নে চন্দ্রসোনার থাল হাওরের ৭৫ নম্বর প্রকল্পের ডুবাইল বরুণ কাইচ্ছা বাঁধ ভেঙে বোরো ফসল তলিয়ে যেতে শুরু করেছে।  

মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর পর এ বাঁধ ভেঙে যায়। একই দিনে গুরমার হাওরের ১১৫ নম্বর প্রকল্পের অধীনে স্লুইচগেট দিয়ে হাওরে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এছাড়া সোনামড়ল হাওরের ৫৪ নম্বর প্রকল্পের বাঁধ ভেঙে ও পানি উপচে জয়শ্রী ইউনিয়নের কয়রানী হাওরে প্রবেশ করতে শুরু করেছে।  

গত সোমবার বিকেলে ধর্মপাশা কংস নদীর পানি শয়তানখালী খাল হয়ে রুইবিল, কাইল্যানী, বুন্না, নয়াবিল ও ডুলিজার হাওরের দিকে প্রবাহিত হতে থাকে।  

পরে স্থানীয়রা ওই খালের নোয়াবন্দ-আবুয়ারচর গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে মধ্যরাত পর্যন্ত কাজ করে বাঁধ দিয়ে তা প্রতিরোধ করেন।  

অপরদিকে রাতেই সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের প্রতাপপুর গ্রাম সংলগ্ন অরক্ষিত স্লুইচগেট হাওরে পানি প্রবেশ করতে থাকলে স্থানীয়রা তা প্রতিরোধ করেন।

ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনতাসির হাসান বলেন, ওভার ফ্লো (উপচে পড়া) হয়ে বাঁধে পানি প্রবেশ করেছে। এতে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা পরে জানাতে পারব।

অন্যদিকে শাল্লা উপজেলার কৈয়ারবন ও পুটিয়া হাওরে বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকেছে। এ দুই হাওরে ৪০ হেক্টর ফসলি জমি নিমিষেই তলিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।  

আজ বিকেলের দিকে এ বাঁধ ভেঙে হাওরে পানি প্রবেশ করে। তবে এ বাঁধটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) আওতার বাইরে বলে জানিয়েছেন ইউএনও।

ইউএনও আবু তালেব জানান, কৈয়ারবন ও পুটিয়া হাওরে প্রায় ৪০ হেক্টর জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে এ বাঁধটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতার বাইরে। এরপরও আমরা চেষ্টা করেছি ফসলি জমি রক্ষা করার। কিন্তু উজানের পাহাড়ি ঢল ও নদীর পানি বাড়ায় আর রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।