ঢাকা, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

নাব্যতা সংকটের কারণে নৌপথগুলো হারিয়ে যাচ্ছে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২২
নাব্যতা সংকটের কারণে নৌপথগুলো হারিয়ে যাচ্ছে

মানিকগঞ্জ: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন স্বাধীনতা আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন তখন একটি স্লোগান জনপ্রিয় হয়েছিল ‘তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা-মেঘনা-যমুনা। ’ এই নদীর তীর ধরেই আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করে বাংলা মাকে হানাদার মুক্ত করে স্বাধীনতাকে ছিনিয়ে এনেছে।

সেই নদী আজকে নাব্যতা হারিয়েছে, নৌপথগুলো নাব্যতা সংকটের কারণে হারিয়ে যাচ্ছে।

বুধবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার আরিচায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ড্রেজার বেইজ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুনর্গঠনের জন্য কাজ শুরু করেন। তখন তিনি বলেছিলেন, আমাদের নদীগুলোর শুকিয়ে গেছে, নদীর নাব্যতা কমে যাচ্ছে। নদীমাতৃক এই দেশকে বাঁচাতে হলে আমাদের এই নদীগুলোর নাব্য ফিরিয়ে আনতে হবে। বঙ্গবন্ধু তার ক্ষমতার সাড়ে তিন বছরে নদী ও নৌপথের নাব্যতা ধরে রাখার জন্য বিআইডব্লিউটিএ’র বহরে সাতটি ড্রেজার সংগ্রহ করেছিলেন। যা ২০০৮ সাল পর্যন্ত ছিল। দীর্ঘ সময়েও এই ড্রেজারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাইনি। আমরা ১৩ বছরে সাতটি ড্রেজার থেকে ৮০টি ড্রেজারে উত্তীর্ণ করেছি। বিগত ৪০ বছরে যা হয়নি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে দ্বিগুণের বেশি উন্নয়ন হয়েছে বিআইডব্লিউটিএতে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে যেই কথা বলেছেন, সেই কথা ১৯৭৫ পরবর্তী জিয়া, এরশাদ এবং খালেদা জিয়া কেউ বাস্তবায়ন ও উপলব্ধি করেনি। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাবার কথা উপলব্ধি করেছেন। আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ।

তিনি আরো বলেন, নদী ভাঙন, নদীর নাব্যতা সংকট নিরসন এবং ভাঙন কবলিত মানুষগুলোকে রক্ষা করার জন্য বিগত সরকারের কোনো ধরনের পদক্ষেপ ছিল না। আজকে বাংলাদেশ এই ১৩ বছরে একটা ইমাজিন টাইগারে পরিণত হয়েছে। একজন নেতাই পারে একটি জাতির ভাগ্য বদলে দিতে পারে।

বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য এ.এম নাঈমুর রহমান দুর্জয়, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরজাহান লাবনী, শিবালয় উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউর রহমান খান জানু ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল কুদ্দুস।

উল্লেখ্যে, দ্রুত ও স্বল্প সময়ে বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজারসমূহ মেরামত, সংরক্ষণ ও অপারেশনে সহায়তার লক্ষ্যে সরকার দেশে পাঁচটি ‘ড্রেজার বেইজ’ স্থাপন করছে। তারই অংশ হিসেবে মানিকগঞ্জের আরিচায় ড্রেজার বেইজ উদ্বোধন করা হয়। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আরিচায় ড্রেজার বেইজের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এ ড্রেজার বেইজটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২০ কোটি টাকা। এতে তিন তলা অফিস ভবন, দোতলা স্টাফ ডরমেটরি, একটি ওয়ার্কশপ রয়েছে। আরিচায় ড্রেজার বেইজটি আরিচা এলাকাসহ রাজবাড়ী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ এলাকায় নৌপথ খননে তদারকি সহজতর হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২২
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।