ঢাকা, শনিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

গ্রামীণ সড়ক সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ, দুদকের অভিযান

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২২
গ্রামীণ সড়ক সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ, দুদকের অভিযান

কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার হোসেনাবাদ বাজার থেকে দাড়েরপাড়া-দৌলতখালী সড়ক মেরামতের কাজ নিম্নমানের হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। অভিযোগ পেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কুষ্টিয়া জেলা সমন্বিত কার্যাললের একটি দল ওই সড়কের বিটুমিন তুলে কাজের মান যাচাই করেছে।

বুধবার (১৩ এপ্রিল) সকালে দুনীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত কুষ্টিয়া কার্যালয় এ অভিযান চালায়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুনীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত কুষ্টিয়া কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নীলকমল পাল।

এসময় সড়কের বিটুমিন তুলে কাজ যাছাই করেন কুষ্টিয়া সড়ক বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান।

দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে গ্রামীণ সড়ক সংস্কার ও সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেল হোসেনাবাদ বাজার থেকে দাড়েরপাড়া-দৌলতখালী পর্যন্ত সড়ক মেরামত প্রকল্প নেওয়া হয়। ওই প্রকল্পের কাজের জন্য ২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আজমেরী ট্রেডার্সের মালিক ঠিকাদার এস এম রবিউল আযম টিপুকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। প্রকল্পের ঠিকাদার এস এম রবিউল আযম টিপু হলেও কাজটি বাস্তবায়ন করেছেন এমআর খান ছোটন। মেরামত কাজের অধিকাংশেরই মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী। কোথাও কোথাও মানহীন কাজের প্রমাণ মিলেছে।  

রাস্তার কাজে কার্পেটিং ও খোয়া-বিটুমিন যাচাই করে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান জানান, সড়ক দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রাস্তায় ব্যবহৃত খোয়া নিম্নমানের। সেই সঙ্গে বিটুমিনে মাত্রা ঠিক নেই। ব্যবহৃত ম্যাটেরিয়ালের স্যাম্পল নেওয়া হয়েছে। এটি টেস্ট করার জন্য পাঠানো হবে। তারপর ব্যবহারের মানের মাত্রা জানা যাবে।

দুনীতি দমন কমিশন সমন্বিত কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নীলকমল পাল জানান, গ্রামীণ সড়ক সংস্কার ও সংরক্ষণ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযান চালানো হয়েছে। রাস্তার উপকরণের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রকল্পের কার্যাদেশ, ডিটেইলস এস্টিমেট বিলের কপিসহ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা করে বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশন বরাবর উপস্থাপন করা হবে। পরে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, উপজেলা প্রকৌশলী দুর্নীতিবাজ ঠিকাদারদের সঙ্গে যোগসাজশ করে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করেন এবং বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ করেন এমন অভিযোগ রয়েছে। মূলত হাতেগোনা কয়েকজন ঠিকাদার দৌলতপুরের কর্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করছেন। বিষয়টি নিয়ে দুদকের তদন্ত চলমান রয়েছে।

এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আজমেরী ট্রেডার্সের মালিক ঠিকাদার এস এম রবিউল আযম টিপুর ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৯ ঘন্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২২
এসআই


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।