ফেনী: নচুয়া খাতুন (৭০) ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের চম্পকনগর আলী আহাম্মদ মেম্বার বাড়ির মৃত হাসম আলীর মেয়ে। শৈশবে কোন এক অদৃশ্য শক্তি নচুয়াকে স্পর্শ করার পর থেকে তিনি স্মৃতিশক্তি হারিয়ে পেলেন।
স্বামী সন্তানহীন নচুয়ার জীবন মানুষের দান দক্ষিণায় চলতে থাকে। বাবার হাতে গড়া ছোট মাটির ঘরটি দিন দিন জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। চালের টিনগুলো অনেক আগেই ফুটো হয়ে বৃষ্টি হলে ঘরের ভেতর পানি ঢুকে।
মাটির তৈরি ঘরটি অন্তত ৫০ বছরের পুরনো। যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে মাটির ঘরের দেয়ালটি। দরজা জানালাবিহীন ভাঙা ঘরে বহুকাল একা বসবাস করছেন অসহায় নচুয়া খাতুন।
নচুয়ার অভিযোগ, ইতোপূর্বে সরকার অসহায়দের ঘর নির্মাণ করে দিয়েছে শুনি। স্থানীয় ইউপি সদস্যকে ঘরের বিষয়ে জানিয়ে কোন প্রতিকার পায়নি।
মাত্র কয়েক মাস আগে নচুয়া খাতুনের নামে একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড স্থানীয় ইউপি সদস্য বানিয়ে দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বয়স্ক ভাতা তিন মাসের পেয়েছি। ফিতরা যাকাতের টাকায় নিজের খাবার ও ওষুধ কিনে খাই।
বিয়ে না হওয়ায় বাবার ভিটেমাটিতে আমি একা বসবাস করি। ঘরটি যেকোনো মুহূর্তেই ভেঙে পড়তে পারে। সরকারের পক্ষ থেকে কিংবা ধনাঢ্য ব্যক্তিদের আর্থিক সহযোগিতা পেলে বাবার হাতে গড়া ভাঙা ঘরটি মেরামত করে ঘরেই মরতে চায় নচুয়া খাতুন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২২
এসএইচডি/এএটি