ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ আষাঢ় ১৪৩১, ১৮ জুন ২০২৪, ১০ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

শ্রমিকের যথাযথ ক্ষতিপূরণ নির্ধারনসহ ৭ সুপারিশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২২
শ্রমিকের যথাযথ ক্ষতিপূরণ নির্ধারনসহ ৭ সুপারিশ

ঢাকা: শ্রমিকের নিরাপত্তায় দেশজুড়ে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শ্রম আদালতের সংখ্যা বাড়ানো, প্রতিটি বিভাগীয় শহরে শ্রম আদালতের কার্যক্রম নিয়মিত পূর্ণ সময় পরিচালিত এবং শ্রমিকের যথাযথ ক্ষতিপূরণপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আইনগতভাবে দুর্ঘটনাজনিত হতাহত শ্রমিকের ক্ষতিপূরণের পরিমাণ আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নির্ধারন করাসহ ৭ দফা সুপারিশ জানিয়েছে শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম।

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম আয়োজিত ‘রানা প্লাজা দুর্ঘটনার ৯ বছর’ শ্রমিকের যথাযথ ক্ষতিপূরণপ্রাপ্তি নিশ্চিতে করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ সুপারিশ জানানো হয়।



ফোরামের অন্যান্য সুপারিশগুলো- আইএলও কনভেনশন ১০২ ও ১২১ অনুসমর্থন করা ও বাংলাদেশ শ্রম আইন ৫ম তফশিল ও দ্বাদশ অধ্যায় সংশোধন করতে হবে এবং মামলার দীর্ঘসূত্র দূরীকরণে ও দ্রুত নিষ্পত্তিতে বিচার প্রক্রিয়ায় বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থা আইনে সংযোজন করতে হবে; আইনজীবীদের শ্রমিকদের আইনি সহায়তা প্রদানে আরও কার্যকারী ভূমিকাসহ শ্রমিকদের মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে সংবেদনশীল ভূমিকা রাখতে হবে; ট্রেড ইউনিয়নগুলোকে শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিতকরণে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করা, শ্রমিকদের আইনগত সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়তাসহ শ্রম আইন সংশোধনীতে জোরালো ভূমিকা রাখা; মালিকদের আইনানুযায়ী শ্রমিকদের অধিকার, নিরাপদ কর্মস্থল ও জীবন-যাত্রার মানন্নোয়নে কার্যকরী ভূমিকা রাখা এবং শ্রমিকদেরও নিজ অধিকার রক্ষায় আরও সচেতন হতে হবে ও আইনানুযায়ী অধিকার বাস্তবায়নে শান্তিপূর্ণভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

আলোচনায় সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, শ্রম আইন পুনঃপরীক্ষা করতে হবে। বিদ্যমান আইনে শ্রমিকের ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত বিধিবিধান যথাযথ নয়। আমাদের শ্রম আইনটা এতোটাই জটিল যে এর সরল কোন ব্যাখ্যা দেওয়াই সম্ভব নয়। ২৩, ২৬, ২৭ ধারার মতো যে আইনে শ্রমিকদের শাস্তির বিধান আছে সেগুলো যথাযথ মানা হয়। কিন্তু ওভারটাইমসহ শ্রমিক স্বার্থের পক্ষের আইনগুলো মালিকরা মানেন না। '

শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের নেতা কামরুল হাসান বলেন, আমাদের দেশের কারখানা মালিকেরা শ্রমিকের নিরাপত্তার ব্যাপারে খুবই উদাসীন। কারণ, এদের মুখ্য উদ্দেশ্য থাকে মুনাফা অর্জন। '

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য শামসুন্নাহার ভূঁইয়া বলেন, '২০১৩ সালে বিভিন্ন কল কারখানায় যে অবস্থা ছিল তা কিছুটা বদলেছে। আমরা শ্রমিকদের নিরাপদ কর্মস্থল চাই। ১৯৮৪ সালে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ যেভাবে দাবি তুলেছিল সেই আন্দোলন কোথায়? শ্রমিক ইউনিয়নগুলো কোথায়? ঐক্যবদ্ধ শ্রমিক আন্দোলন ছাড়া শ্রমিকের মুক্তি সম্ভব নয়। '

শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরামের আহ্বায়ক ড. হামিদা হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আলোচনা করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ যুগ্ম মহাসচিব ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, বাংলাদেশ লেবার ফাউন্ডেশন নির্বাহী পরিচালক এ কে এম আশরাফ উদ্দিন, কর্মজীবী নারী নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া রফিক বেবী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২২
এমএমআই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।