ঢাকা: জেন্ডার সমতা নিশ্চিত এবং নারীর প্রতি নেতিবাচক চিন্তাধারার মানসিকতা পরিবর্তনের লক্ষ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে কমনওয়েলথ, বিশ্ব নেতৃবৃন্দ, জাতিসংঘ এবং উন্নত দেশগুলোকে সময়োপযোগী বৈশ্বিক কর্মসূচি গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন নারী ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) বাংলাদেশ স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় দ্য কমনওয়েলথ আয়োজিত ‘কমনওয়েলথ উইমেন’স অ্যাফেয়ার্স মিনিস্ট্রিয়াল অ্যাকশন গ্রুফ’ এর সভায় ডায়লগ অ্যান্ড লার্নিং অন কোভিড-১৯ অ্যান্ড জেন্ডার ইনক্যুয়ালিটি বিষয়ে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। মহামারি কাটিয়ে উঠতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক লাখ একত্রিশ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। মহামারি চলাকালীন সময়ে ৬ কোটি মানুষকে আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা দান করা হয়েছে। নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির করা হচ্ছে। বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নে দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে এবং কর্মক্ষেত্রে ৫০-৫০ বা সমতা অর্জনে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, নারীরা যেন ঘরে বসে কাজ করতে পারেন সেজন্য ই-কমার্স ও হোম বেজড কাজের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। নারীরা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সেবা ও প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে নারী উদ্যোক্তারা সুবিধা পেতে পারেন তা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, কোভিড মহামারি বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির ওপর ব্যাপক বিরূপ প্রভাবের সঙ্গে বৈষম্য বৃদ্ধি করেছে। বিশ্বব্যাপী নারীরা চাকরি হারিয়েছেন ও তাদের আয় কমে গেছে। যার ফলে নারীরা বৈষম্য, সহিংসতা ও নির্যাতের শিকার হয়েছেন। বাংলাদেশে গার্মেন্টস সেক্টরে নারী ও অভিবাসী শ্রমিকেরা চাকরি হারিয়েছেন। যা পরিবারের জন্য বড় বোঝা।
এ সভায় যুক্তরাজ্য, মালদ্বীপ, মরিশাস, সামোয়া, গায়ানা, রুয়ান্ডা, মালেশিয়াসহ কমনওয়েলথভুক্ত দেশের মন্ত্রীরা নারী উন্নয়ন ও বৈষম্য রোধে বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২২
জিসিজি/এসআইএস