ঢাকা, শনিবার, ১২ আশ্বিন ১৪৩১, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ভোলাহাটে ভাতাভোগীদের ভাতায় ভাগ বসানোর অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৮ ঘণ্টা, মে ৯, ২০২২
ভোলাহাটে ভাতাভোগীদের ভাতায় ভাগ বসানোর অভিযোগ অভিযুক্ত মো. বাইতুল আল মামুন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে বিভিন্ন ধরনের ভাতাভোগীদের কাছ থেকে ব্যাংক এশিয়া মাইক্রো মার্চেন্টের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।  

এমনকি উৎকোচের বিনিময়ে মৃত ব্যক্তিকে জীবিত দেখিয়ে তার স্বজনদের ভাতা দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।

যদিও এসব অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যাংক এশিয়া সাময়িকভাবে লেনদেন বন্ধ রখেছে। কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এখনও নেওয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা।  

অভিযুক্ত ব্যক্তি ভোলাহাট উপজেলার ইমামনগর গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিন মাস্টারের ছেলে মো. বাইতুল আল মামুন (বাইতুল)। তিনি উপজেলার ময়ামারি ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট ব্যাংকিং এর আউটলেটের মাইক্রো মার্চেন্ট।

ভাতাভোগীদের অভিযোগে জানা গেছে, ভাতা প্রদানের সময় ময়ামারি ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট ব্যাংকিং এর আউটলেট মাইক্রো মার্চেন্টকে জনপ্রতি সাত টাকা দিতে হয়। কিন্তু ব্যাংক এশিয়া মাইক্রো মার্চেন্ট বাইতুল আল মামুন বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধীসহ অন্যান্য ভাতাভোগীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে অতিরিক্ত ৪০ টাকা করে আদায় করছেন। তিনি গত ২১ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত ২৩ জন এবং এর আগে ৮৩ জনকে ভাতার টাকা দেওয়ার সময় এসব উৎকোচ নিয়েছেন।

এমনকি উৎকোচের বিনিময়ে সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করে মৃত ব্যক্তির টাকাও উত্তোলন করে মৃত ব্যক্তির স্বজনকে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ আছে, গত ২৫ এপ্রিল মৃত ব্যক্তি গোহালবাড়ী ইউনিয়নের সুরানপুর গ্রামের হাসুমুদ্দিনের ছেলে মৃত হরমুজ আলীর (বয়স্ক ভাতা) স্বজনকে ভাতা দিয়েছেন।

এছাড়াও এ মাইক্রো মার্চেন্টের বিরুদ্ধে শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা দেওয়ার সময় অবৈধভাবে অতিরিক্ত ৫০ টাকা করে নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।

ভাতাভোগী বেরফুল জানান, তার কাছ থেকে ৪০ টাকা নেওয়ার পর তাকে টাকা দিয়েছেন। অপর ভাতা ভোগী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তার সামনে মৃত ব্যক্তির স্বজনদের প্রথমে মৃত্যুর কারণে ভাতা না দেওয়ার কথা বলে পরে উৎকোচের বিনিময়ে ভাতা দিয়েছেন মৃত হরমুজের ছেলেকে।  

এ ব্যাপারে ব্যাংক এশিয়া মাইক্রো মার্চেন্ট মো. বাইতুল আল মামুনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানান, তিনি অতিরিক্ত ৪০ টাকা করে নেননি। তবে খুশি হয়ে ভাতাভোগীরা ১০/১৫ টাকা করে দিয়েছেন। মৃত ব্যক্তির টাকা দেওয়ার ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান। সার্ভার কেন বন্ধ হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন নেটওর্য়াক সমস্যার কারণে সার্ভার বন্ধ হয়েছে।

অপরদিকে ব্যাংক এশিয়ার ভোলাহাট এরিয়া ম্যানেজার প্রভাষ চন্দ্রের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তার সার্ভার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে করে ভাতাভোগীরা আরও ভোগান্তিতে পড়বে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যাংক এশিয়া খবর পেয়ে (২ মে) তার সার্ভার বন্ধ করে লেনদেন বন্ধ করে দেয়। তদন্তে এ মাইক্রো মার্চেন্টের অনিয়মের সত্যতা প্রমাণিত হলে স্থায়ীভাবে তার কার্যক্রম বন্ধ করে আবার সার্ভার চালু করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।