ঢাকা, বুধবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২২ মে ২০২৪, ১৩ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

নির্ধারিত ফ্লাইটে হজযাত্রী পরিবহনে অনড় হাব

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪২ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২২
নির্ধারিত ফ্লাইটে হজযাত্রী পরিবহনে অনড় হাব

ঢাকা: চলতি মৌসুমে এয়ারলাইন্সগুলোকে ডেডিকেটেড (শুধু হজযাত্রী পরিহনের জন্য নির্ধারিত) ফ্লাইটে হজযাত্রী পরিবহন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে বুধবার সচিবালয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে হজ প্যাকেজ নিয়ে এক সভা শেষে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম এতথ্য জানান।

তিনি জানান, এবার থ্রি ডিজিটের শিডিউল ফ্লাইটে কোনো হজযাত্রী তারা পরিবহণ করতে পারবেন না। এয়ারলাইন্সগুলোকে ডেডিকেটেড ফ্লাইটে হজযাত্রী পরিবহন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

হাব সভাপতি বলেন, এটা নিয়ে আজকে আমাদের প্রধান একটি দাবি ছিল। আমরা বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য বলেছি। কারণ বাংলাদেশের হজযাত্রীদেরকে সৌদি অংশের ইমিগ্রেশন বাংলাদেশে করতে হলে সৌদি সরকারের প্রথম শর্ত হল ডেডিকেটেড ফ্লাইটে হজযাত্রী যেতে হবে। কোনো শিডিউল ফ্লাইটে হজযাত্রী পাঠালে তার ইমিগ্রেশন সৌদি সরকার এখানে করবে না।  

শাহাদাত হোসাইন বলেন, এয়ারলাইন্সগুলোকে প্রতি বছরই বলা হয়, ডেডিকেটেড ফ্লাইটের দাম দেওয়া হয় কিন্তু ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালনা করে না। তারা শিডিউল ফ্লাইটেও অন্যযাত্রীদের সঙ্গে হজ যাত্রীদের নিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করে। আজকে আমাদের প্রধান দাবি ছিল, যাতে বাংলাদেশে ইমিগ্রেশন করা যায় এবং ডেডিকেটেড ফ্লাইটে হজযাত্রী পরিবহন করা হয়।

হজ যাত্রী পরিবহনে চলতি বছর এয়ারলাইন্স বাড়ানোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি মনে করি শুধু একটা এয়ারলাইন্স নয়, আরও এয়ারলাইন্স এখানে সংযুক্ত হওয়া প্রয়োজন। তাহলে যাত্রীদের সেবা নিশ্চিত হবে।

ঢাকা থেকে যেসব হজযাত্রী সৌদি আরবে যাবেন তাদের শতভাগের ইমিগ্রেশন বাংলাদেশ প্রান্তেই শেষ করা হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমরা আশা করছি ৩১ মে ফ্লাইট শুরু হবে তবে এতে কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে। বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফ্লাইট সূচি করে জানালে আমরা ব্যবস্থা করবো। আমরা এখনও আলোচনা করছি। এবার শতভাগ হজযাত্রীর ইমিগ্রেশনই ঢাকায় হবে। আমরা ডেডিকেটেড ফ্লাইট চালুর বিষয়ে বন্ধ পরিকর। বিমান এ ব্যাপারে আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে এবার হজযাত্রীদের সঙ্গে অন্য যাত্রীদের পরিবহন করা হবে না। সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনসকেও একইভাবে ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। এটাকে যাতে বাস্তবে রূপ দান করা যায় এজন্য আমরা সরাসরি আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আজকের মিটিংয়ের সিদ্ধান্তও তাদের জানানো হবে।

এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। সরকারি প্যাকেজগুলোতে খরচ বেড়েছে লাখ টাকা। তবে বেসরকারি প্যাকেজ প্রস্তাব করা হলেও চূড়ান্ত হয়নি। সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্যাকেজ-১ এর অধীনে জনপ্রতি ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা ধরা হয়েছে। আর প্যাকেজ-২ এর অধীনে ধরা হয় জনপ্রতি ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকা।

সভায় বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় জনপ্রতি ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৫৩০ টাকা প্রস্তাব করা হয়।

হাব সভাপতি শাহাদাত হোসাইন বলেন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনার প্যাকেজ হাব নির্দিষ্ট করে। এ প্যাকেজটি আগামীকাল ঘোষণা হবে।

তিনি বলেন, এই প্যাকেজের জন্য আজকে শুধুমাত্র একটি বেসিক ব্যবস্থাপনা হয়েছে। আজকে নির্বাহী কমিটিতে এটি অনুমোদিত হয়েছে যে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজ প্যাকেজ হাব ঘোষণা করবে।

দুই বছর পর বাংলাদেশ থেকে হজযাত্রী যাবেন জানিয়ে হাবের সভাপতি বলেন, আমরাও খুব আনন্দিত। অন্যান্য স্বাভাবিক সময়ে যে হজ হয় সে হজে যেভাবে সময় নিয়ে হজযাত্রীদেরকে পাঠানো যায়, এ বছর সেটা করা যাচ্ছে না। করোনার কারণে সৌদি সরকার দেরিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

হাবের সভাপতি বলেন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের ৫৩ হাজার ৫৮৫ জন হজে যাবেন। তারা কোন প্যাকেজে যাবেন, তাদের কী সেবা করা হবে এবং দাম কেমন কেমন হবে, তা আমরা আগামীকাল জানাবো। তার আগে আমরা সৌদি অংশের খরচের হিসাবটি জানার চেষ্টা করবো।

প্রস্তাবিত প্যাকেজে খরচ বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে শাহাদাত হোসাইন বলেন, সৌদির কিছু খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। যেমন মোয়াল্লেম সার্ভিসের খরচ দ্বিগুণ হয়েছে। তাছাড়াও সেখানে বাড়িভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে। বাড়িভাড়া এখন সৌদি সরকার কাছাকাছি দূরত্বে যে বাড়িগুলো আছে। এছাড়াও দুই দেশের টাকার মানের পার্থ্যকের কারণেও প্যাকেজের দাম বেড়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২২
এমআইএইচ/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।