ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ মে ২০২৪, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

স্ত্রীকে ভারতে বিক্রির চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে খুন, দেশে ফিরে গ্রেফতার স্বামী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫০ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২২
স্ত্রীকে ভারতে বিক্রির চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে খুন, দেশে ফিরে গ্রেফতার স্বামী

যশোর: চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে গত ১৫ এপ্রিল স্ত্রী সালমা খাতুনকে (২৪) ভারতের গুজরাট রাজ্যে নিয়ে যান কামরুল ইসলাম(৩০)। সেখানে তাকে বিক্রি করতে ব্যর্থ হয়ে হত্যার পর মরদেহ ফেলে রেখে দেশে পালিয়ে আসেন তিনি।

দেশে এসে প্রচার করে সালমাকে হারিয়ে ফেলেছেন। তবে তার আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় বুধবার (১১ মে) যশোর কোতয়ালি থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা করেন সালমার বাবা শহিদুল ইসলাম। এরপর ওই দিন রাতেই অভিযুক্ত কামরুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে যশোর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। আসামি কামরুল যশোর সদর উপজেলার বানিয়ারগাতী গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে।
জেলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুপন কুমার সরকার জানান, গত ১৫ এপ্রিল স্ত্রী সালমা খাতুনকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে নিয়ে যান কামরুল ইসলাম। এরপর ৮ মে  স্ত্রীকে ছাড়াই তিনি দেশে ফিরে আসেন। এদিকে স্ত্রীর পরিবারের সদস্যরা সালমার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে বাড়ি থেকে বের করে দেন কামরুল। ভারতে সালমা খাতুনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও বন্ধ পায় পরিবারের লোকজন।   পরে সালমার বাবা সহিদুল ইসলাম বুধবার কোতয়ালী মডেল থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে একটি মামলা করেন। ঘটনাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় রহস্য উদঘাটন ও ভিকটিমকে উদ্ধারের দায়িত্ব পায় কোতয়ালী থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ। পুলিশ তদন্তে  নেমে  জানতে পারে ভিকটিম সালমা খাতুনকে ভারতের গুজরাট রাজ্যে নিয়ে বিক্রির চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে হত্যা করে কামরুল দেশে ফিরে পালিয়ে আছেন। এরপর বুধবার গভীর রাতে কোতয়ালী থানাধীন বসুন্দিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে কামরুল স্বীকার করেছেন স্ত্রী সালমা খাতুনকে চাকরির প্রলোভনে ভারতে নিয়ে গুজরাট রাজ্যের আনাদ্ব জেলার ভালেজ থানা এলাকায় আটক রেখে বিক্রির চেষ্টায় ব্যর্থ হন। সেখানে একটি ভাড়া বাসার মধ্যে নাকে-মুখে আঘাত করে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রেখে দেশে পালিয়ে এসেছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্তের তিনটি পাসপোর্ট, ভিকটিমের পাসপোর্ট ও ভিকটিমের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে নিহত সালমার বাবা শহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ২ বছর আগে তার মেয়েকে বিয়ে করেন সঙ্গে পাশের গ্রামের কামরুল। তাদের সন্তান না হওয়ায় ডাক্তার দেখানোর নাম করে তার কামরুল  গত ১৫ এপ্রিল সালমাকে ভারতে নিয়ে যায়। রোববার কামরুল ভারত থেকে ফিরে এসে তাদের জানায় সালমাকে হারিয়ে ফেলেছেন। এ সময় তার আচরণে সন্দেহ হলে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৮ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২২
ইউজি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।