ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

অথৈ জলে ভাসছে সাবেক মেয়র কামরানের বাড়ি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০২ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২২
অথৈ জলে ভাসছে সাবেক মেয়র কামরানের বাড়ি ছবি: মাহমুদ হোসেন

সিলেট: সুরমার তীর ঘেঁষা নগরের ছড়ারপাড়ে অবস্থিত সাবেক মেয়র প্রয়াত বদর উদ্দিন কামরানের বাড়ি। যে বাড়ি ঘিরে ছিল রাজনীতির সুবাতাস।

নেতাকর্মীর পদচারণায় মুখর থাকতো। এখন সেই মানুষ নেই। তাই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতেও নেই ছড়ারপাড়ের বাড়িটি।

পরিবার পরিজন নিয়ে যে বাড়িতে থাকতেন সিলেটের জননন্দিত গণমানুষের নেতা কামরান, সেই বাড়ি এখন বন্যার পানিতে ভাসছে। বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের জীবদ্দশায় এভাবে বানভাসী হলে সংবাদ মাধ্যমের খোরাক থাকতো বাড়িটি ঘিরে। কিন্তু সেই মানুষ নেই, তাই বেখবর ছড়ারপাড়ের কামরানের খাসনামা।  

বন্যায় তলিয়েছে ছড়ারপাড়ের বিভিন্ন সড়ক ও বাসা-বাড়ি। রক্ষা পায়নি সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন কামরানের বাসাও। যে বাসার নীচ তলায় বৈঠক করতেন বদর উদ্দিন কামরান। হতো রাজনীতির মঞ্চায়ন। সেই কক্ষ থৈ থৈ করছে বন্যার পানি। উপরে দু’তলায় সন্তানদের নিয়ে বাস করছেন কামরান পত্মী আছমা কামরান। এখন সেই বাড়ি আর কারো দৃষ্টি কাড়ে না।

মঙ্গলবার (১৭ মে) সরেজমিন দেখা গেছে, নগরের অন্যান্য স্থানের ন্যায় ছড়ারপাড়ের অলিতে গলিতে পানি। কলোনির নিম্ন আয়ের লোকজন এরইমধ্যে বাসা ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। বাসা বাড়ির লোকজন যাচ্ছেন স্বজনদের কাছে। কিন্তু কামরান পরিবার এখনো নিজ বাসাতেই অবস্থান করছেন।

জানা গেছে, সোমবার রাতেই সাবেক মেয়র কামরানের বাসার নিচতলায় পানি ঢুকে পড়ে। মঙ্গলবার দিনে বন্যার পানির পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা।

কামরানের পরিবারের লোকজন বলেন, সোমবার রাতেই পাড়ার রাস্তা-ঘাট তলিয়ে যায়। প্রায় সব বাসায় পানি ঢুকে পড়েছে। আমাদের বাসার নিচতলায় এখন উরু সমান পানি। ফার্নিচারসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একটির উপর আরেকটি জিনিসপত্র রাখা হয়েছে। আর পানি বাড়লে পুরোপুরি বেকায়দায় পড়তে হবে।

টানা বৃষ্টিপাত ও ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে সিলেটে সুরমার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পানিতে টইটুম্বুর শহরের খাল নালা উতরে রাস্তাঘাট ডুবে বাসা-বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষজন। নগরের ৭টি ওয়ার্ডে ১৬টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু করেছে সিটি করপোরেশন।

সোমবার (১৬ মে) গভীর রাত থেকে পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে থাকে। সুরমা ও কুশিয়ারাসহ কয়েকটি নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে নগরের নিম্নাঞ্চলগুলো তলিয়ে গেছে। এরপরও থেমে থেমে বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আতঙ্কে আছেন সিলেটের মানুষ।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান বলেন, সিলেট নগরের নদী রক্ষা বাধ ও স্লুইসগেট নেই। তাই ছড়াখাল দিয়ে সুরমার পানি নগরে ঢুকে নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হচ্ছে। এ অবস্থা নিরসনে আমরা মাস্টার প্লান করে আগামীতে পদক্ষেপ নেব।

বাংলাদেশ সময়: ০৯০২ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২২
এনইউ/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।