ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

হবিগঞ্জের বাজারে ফরমালিনযুক্ত ফলের ছড়াছড়ি!

বদরুল আলম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৯ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২২
হবিগঞ্জের বাজারে ফরমালিনযুক্ত ফলের ছড়াছড়ি! লিচু।

হবিগঞ্জ: মধু মাস জৈষ্ঠ্যের আগমনের সঙ্গে সঙ্গেই হবিগঞ্জের হাট-বাজারে আসতে শুরু করেছে নানাজাতের ফল। বাজারগুলোতে আম, কাঁঠাল, লিচু, আনারসসহ সব ধরনের ফল এখন প্রতিদিন পাওয়া যাচ্ছে।

তবে ফলে প্রাণঘাতী ক্যামিকেল ফরমালিনের ব্যবহার হচ্ছে ব্যাপকভাবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ বছর ফলন কম হওয়ায় বাজারে ফলের দাম চড়া। প্রতি কেজি দেশীয় জাতের আম বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ১২০ থেকে ১৮০ টাকায়। ভারতীয় আম হিসেবে পরিচিত প্রতিকেজি আম বিক্রি হচ্ছে ৭০/৮০ টাকায়।

বাজারে ছোট আকারের আনারসের চাহিদা বেশি। এ আনারস প্রতি হালি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রকারভেদে লিচু বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ২৮০ টাকা পর্যন্ত এবং কাঁঠাল প্রতিটি ১০০ থেকে ৪০০ টাকা।

তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজারে যে লিচু পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো অপরিপক্ব। এসব ফল রাসায়নিক জাতীয় পদার্থ দিয়ে পাকানো হয়। একই অবস্থা ভারতীয় আম হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ফলটির ক্ষেত্রেও।

আকারে ছোট শ্রীমঙ্গলের আনারসের প্রতি ক্রেতাদের চাহিদা বেশি থাকলেও এ আনারস বাজারে কম। ফলের চাহিদা থাকা সত্বেও মানসম্মত ফল না পাওয়ায় এবং ফলে ক্যামিকেল মেশানোর প্রবণতা থাকায় অনেক সাধারণ ক্রেতা এখনও ফল কেনা থেকে বিরত রয়েছেন।

সরেজমিনে লাখাই উপজেলার কালাউক ও বুল্লা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, মাঝারি আকারের কাঁঠাল বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়, লিচু প্রতি শ’ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা এবং দেশি জাতের আম বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৮০ টাকায়। যা অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি। এর কাছাকাছি দামে ফল বিক্রি হচ্ছে জেলা সদরসহ হবিগঞ্জের ৯টি উপজেলায়।

বাজারে ফল কিনতে আসা পূর্ব সিংহগ্রামের বাসিন্দা ইকবাল আহমেদ জানান, দুইদিন আগে ৮০ টাকা কেজি দরে ২ কেজি আম কিনেছিলাম। আমগুলো দেখতে খুব সুন্দর, আকারে বড় এবং পাকা হলেও ভেতরে শক্ত। তেমন স্বাদও নেই।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে ক্যামিকেলের মাধ্যমে পাকানো ফলমূল খেয়ে সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে। এ ক্ষেত্রে বাজার মনিটরিং জোরদার করা প্রয়োজন।

যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবু হেনা মোস্তফা জামান বলেন, অতি মুনাফার আশায় অনেক ব্যবসায়ী স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহার করে ফলমূল পাকাচ্ছে। এ কারণে জনস্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। ভোক্তারা পেটের পীড়া, যকৃতের রোগসহ নানা ব্যধিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। এক্ষেত্রে সবার সচেতন হওয়া প্রয়োজন।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।