ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সমলয় পদ্ধতিতে বোরো আবাদে বাড়ছে উৎপাদন, কমছে খরচ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৯ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২২
সমলয় পদ্ধতিতে বোরো আবাদে বাড়ছে উৎপাদন, কমছে খরচ

লক্ষ্মীপুর: সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধানের আবাদ করায় কৃষকদের উৎপাদন খরচ কম হচ্ছে। এছাড়া ফলনও ভালো পাচ্ছেন কৃষকরা।

আধুনিক পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরি থেকে শুরু করে ক্ষেতে চারা রোপণ এবং ধান কাটার কাজটিও হয়েছে যন্ত্রের সাহায্যে। এতে শ্রমিক সংকটসহ নানা প্রতিবন্ধকতা এড়িয়ে সঠিক সময়ে ফসল ঘরে তুলতে পারছেন কৃষকরা।  

এ প্রকল্পের আওতায় (যন্ত্রের সাহায্যে) কৃষকদের ধানের বীজ থেকে শুরু করে বীজতলা তৈরি, চারা রোপণ, সার, কীটনাশক প্রয়োগ এবং সর্বশেষ ধান কেটে ঘরে তুলে দেওয়ার কাজটি করছে কৃষিবিভাগ।  

চলতি মৌসুমে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার উত্তর চর লরেঞ্চ গ্রামে ৫০ একর জমিতে সমালয় পদ্ধতিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। শনিবার (২১ মে) হারভেস্টার মেশিনের সাহায্যে ধান কাটা শুরু করা হয়।  

ধান কাটা উদ্বোধন করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আতিক আহম্মদ।

তিনি জানান, কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহার সহজ করতে ৫০ একর জমিকে একত্রিত করে সমালয় পদ্ধতিতে ধান চাষ করা হয়। চলতি মৌসুমের ১৩ ফেব্রুয়ারি যন্ত্রের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে। এর আগে বিশেষ ট্রে-তে চারা তৈরি করা হয়।

কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. ইখতারুল ইসলাম বলেন, হারভেস্টার মেশিনের সাহায্যে ধান কেটে কৃষকরা তাদের ফসল ঘরে তোলার সুযোগ পাচ্ছেন। এই পদ্ধতিতে শ্রমিক সংকট ও নানা প্রতিবন্ধকতা দূর হয়। উৎপাদন খরচও কম হচ্ছে। কৃষিবিভাগ থেকে কৃষকদের জন্য বীজ, চারা তৈরি, রোপণ, সার এবং ধান কেটে ঘরে তুলে দেওয়া পর্যন্ত সব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। কৃষকরা শুধু সেচের পানি ও জমি চাষের খরচ বহন করেছে। এ প্রকল্পের আওতাধীন সুবিধাভোগী কৃষকের সংখ্যা ৬০ জন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্র জানায়, সমলয় পদ্ধতিতে বিস্তীর্ণ জমি একত্রিত করে একই সময়ে একই সঙ্গে আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে চাষাবাদের আওতায় আনা হয়। ট্রে ও পলিথিনে বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি করা হয় বীজতলা। চারা তৈরি হতে সময় লাগে প্রায় সাত দিন। সেখান থেকেই চারা নিয়ে সরাসরি ক্ষেতে রোপণ করা হয়।

ধান কাটার উদ্বোধনী দিনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা তারেকুল আলম, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার দত্ত এবং স্থানীয় কৃষকরা।

উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা তারেকুল আলম জানিয়েছেন, আধুনিক পদ্ধতিতে উৎপাদিত ধান কৃষক যাতে সরাসরি খাদ্যগুদামে বিক্রি করতে পারেন সে ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। এক হাজার ৮০ টাকা দরে প্রতি মণ ধান সরাসরি খাদ্য গুদামে বিক্রি করতে পারবেন।  

কৃষক শাহে আলম জানান, প্রকল্পের আওতায় তার ৪০ শতাংশ জমি ছিল। সেখান থেকে তিনি প্রায় ৪০ মণ ধান পাবেন।  

তিনি বলেন, সমলয় পদ্ধতিতে কৃষকের কষ্ট ও খরচ কমে গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।