ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

ভোলার কাশেমগঞ্জ ঘাটে পন্টুন স্থাপনসহ লঞ্চ ভেড়ানোর দাবি 

ছোটন সাহা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪১ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২২
ভোলার কাশেমগঞ্জ ঘাটে পন্টুন  স্থাপনসহ লঞ্চ ভেড়ানোর দাবি  কাশেমগঞ্জ বাজারঘাট

ভোলা: ভোলার লালমোহন উপজেলার কাশেমগঞ্জ বাজার ঘাটে পন্টুন স্থাপনসহ লঞ্চ ভেড়ানোর দাবি এলাকাবাসীর।  

পন্টুনের অভাবে কাশেমগঞ্জ ঘাটে লঞ্চ না ভেড়ায় যাত্রীদের লালমোহন সদর কিংবা চরফ্যাশন উপজেলায় গিয়ে অনেকটা পথ ঘুরে চরম দুর্ভোগ নিয়ে লঞ্চ উঠতে হচ্ছে।

ফলে প্রতিনিয়ত যাত্রী, ব্যবসায়ীসহ এলাকার মানুষকে সীমাহীন কষ্ট উপেক্ষা করে গন্তব্যে যেতে হয়।

একাধিকবার পন্টুন স্থাপনের জন্য এলাকাবাসী দাবি জানিয়ে এলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।

জানা গেছে, লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলার সীমান্তবর্তী লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের জনপদ কাশেমগঞ্জ। ওই এলাকার পাঁচ ইউনিয়নের ৫০ হাজার মানুষের প্রতিদিন ঢাকা, নোয়াখালী, হাতিয়া, মনপুরা ও আলেকজেন্ডারসহ বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করছেন।

কাশেমগঞ্জ ঘাট ভালো থাকাকালীন চার বছর আগে লঞ্চ ভিড়লেও এখন পন্টুনের অভাবে ভিড়ছে না। যে কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হয় ওই অঞ্চলের মানুষদের। লঞ্চে উঠতে হলে তাদের অনেক পথ ঘুরে যেতে হয়। এতে একদিনে যেমন অতিরিক্ত সময় ব্যয় হচ্ছে, অন্যদিকে ভোগান্তি পোহাতে হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা ব্যবসায়ী মো. সেলিম, মৎস্য আড়ৎদার মোশ ইসমাইল বলেন, আগে লঞ্চ ভিড়তো তখন আমাদের কোনো সমস্যা হয়নি, কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে লঞ্চ ভিড়ে না। সবচেয়ে ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।  



যাত্রী মোশারেফ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, পন্টুন নাই, তাই লঞ্চ নোঙর দেয় না, আমাদের বহু পথ ঘুরে লঞ্চে যেতে হয়। এতে অতিরিক্ত ভাড়া এবং সময় দুটোই ব্যয় হচ্ছে।  

যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার জন্য বার বার কাশেমগঞ্জ বাজার লঞ্চঘাটে পন্টুন স্থাপনের দাবি জানানো হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

লর্ডহাডিঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘদিনেও ঘাটে পন্টুন না থাকায় এখানকার মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। দীর্ঘদিন থেকে এ অঞ্চলের খাদ্যশস্য পরিবহন বন্ধ রয়েছে। ফলে অর্থনৈতিকভাবেও পিছিয়ে রয়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। অঞ্চলটির মানুষের সুবিধার কথা বিবেচনা করে এখানে পন্টুন স্থাপন জরুরি।  

তিনি আরও বলেন, বিষয়টি আমরা একাধিকার বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থাকে (বিআইডব্লিটিএ) জানিয়েছি।  কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেইনি কর্তৃপক্ষ।

বিষয়টির ব্যাপারে চানতে চাইলে বিআইডব্লিটিএ’র সহকারী পরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা খুব শিগগিরই লঞ্চ ঘাটটি পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেবো।

এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পল্লব কুমার হাজরা বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে সেখানে পন্টুন স্থাপনের জন্য ব্যবস্থা করা হবে। যাতে জন দুর্ভোগ লাঘব হয়।

এদিকে খুব দ্রুত ঘাটে পন্টুন স্থাপনের দাবি এলাবাসীর।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২২
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।