ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মারা গেলেন ২ বীরপ্রতীক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১২ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২২
মারা গেলেন ২ বীরপ্রতীক

জামালপুর: জামালপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ সদরুজ্জামান হেলাল ও মতিউর রহমান আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ... রাজিউন)।  

মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখায় বাংলাদেশ সরকার তাদের দুইজনকে বীরপ্রতীক খেতাব প্রদান করেন।

রোববার (২২ মে) পৃথক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

বীরপ্রতীক সৈয়দ সদরুজ্জামান হেলাল আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এছাড়া বীরপ্রতীক মতিউর রহমান একই দিন দুপুরে বকশিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

জানা গেছে, সাহেববাড়ি গ্রামের বাবা সৈয়দ বদরুজ্জামান ও মা সৈয়দা খোদেজা জামানের সন্তান সদরুজ্জামান ১৯৫০ সালের ৩১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানের সময় তিনি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের জামালপুর মহকুমা শাখার জ্যৈষ্ঠ সভাপতি ছিলেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে ১১ নম্বর সেক্টরে কোম্পানি কমান্ডার ছিলেন। স্বাধীনতাযুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীরপ্রতীক খেতাব প্রদান করেন।

পারিবারিক জীবনে তিনি এক ছেলে ও দুই মেয়ের জনক। বার্ধক্যজনিত কারণে শারীরিক অসুস্থতায় সম্প্রতি তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।  তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সুনামের সঙ্গে দুরমুঠ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।

মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সেলিম মিঞা বলেন, তিনি আজ সকালে মারা যান। আজ বিকেল পাঁচটায় জামালপুরে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। পরে সোমবার (২৩ মে) নিজ দুরমুঠে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলেও জানান তিনি।

অপরদিকে বীরপ্রতীক মতিউর রহমান ধানুয়া গ্রামের মরহুম তসলিমউদ্দীন সরকার ও সখিনা বেগম দম্পতির সন্তান। তিনি ১১ নম্বর সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীরপ্রতীক খেতাবে ভূষিত করেন। পারিবারিক জীবনে তিনি এক ছেলে ও তিন মেয়ের জনক।

এ বিষয়ে বকশিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনমুন জাহান বলেন, তিনি প্যারালাইজড ছিলেন। সোমবার সকাল ৯টায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জানাজা শেষে তার নিজ বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

জামালপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার সুজাত আলী তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উভয়ের মৃত্যুতে জেলাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাদের হারিয়ে আমরা দুইজন অভিভাবক হারালাম।

মুক্তিযুদ্ধে তাদের বীরত্বগাঁথা অবদান জাতি সারাজীবন মনে রাখবে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২২
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।