ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

আধিপত্য বিস্তারে এলোপাতাড়ি কোপালো সন্ত্রাসীরা, আহত ৫

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৩ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২২
আধিপত্য বিস্তারে এলোপাতাড়ি কোপালো সন্ত্রাসীরা, আহত ৫

সাভার (ঢাকা): সাভারের আশুলিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ৫ জন মানুষকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে সন্ত্রাসীরা। আহতদের সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, এনাম মেডিক্যাল কলেজ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

রোববার (২২ মে) দিনগত রাতে সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম।

এর আগে, সন্ধ্যায় আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকায় শাপলা বিল্ডিংয়ের মোড় এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।

আহতরা হলেন- নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার দিঘলীয়া গ্রামের মো. মসিউর রহমানের ছেলে মো. রাতুল শেখ (১৮), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আব্দুল হকের ছেলে রজব আলী (২২), সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ থানার খইচালা গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে পিকআপ ভ্যান চালক আইয়ুব আলী (২১) ও তার সহযোগী ইয়াসিন (১৮), সারোয়ারের ছেলে গাড়ীর হেলপার হানিফ (১৮)।

অভিযুক্তরা হলেন- আশুলিয়ার জামগড়া চিত্রশাইল কাঁঠালতলা এলাকার মতিন প্রধান ও তার ৪ ছেলে খলিল প্রধান, অলীল প্রধান, মহসিন প্রধান, ওয়াসিম প্রধান, মোশারফ প্রধান, মোশারফ প্রধানের ছেলে আনাস প্রধান, সোহাগ, আল-আমিন, রিফাত, রাব্বী, নাইমুর রহমান রাব্বীসহ অজ্ঞাত আরো ১৫-২০ জন।

জানা গেছে, রাতুল ও রজব আলী আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার ব্রুকহিল মার্কেটের নিকট মীম ফুড বেকারিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। রোববার ওই এলাকায় দোকানে বাকি টাকা তুলতে গেলে কয়েকজন তাদের ওপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আহত রাতুল পালিয়ে গেলেও রজব ঘটনাস্থলেই পড়ে থাকে। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেন। পরে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সাভারের এনাম মেডিক্যালে রেফার্ড করেন। একই ভাবে পিকআপ ভ্যান চালক আইয়ুব ও ইয়াসিনকে উদ্ধার করে প্রথমে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তাদের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাদের ঢাকা মেডিক্যালে স্থানান্তর করেন। অন্যদিকে হানিফকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে। তার একটি পা অপারেশন করে বাদ দিতে হবে বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, এর আগে এক মেয়ে ইভটিজিং করে সোহাগ নামে এক ছেলে। পরে সেই মেয়ের ভাই সোহাগকে এ ব্যাপারে নিষেধ করলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে গত শনিবার রাতে শুনেছি মারামারি হয়েছে। রোববার তার জের ধরেই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। তারা বেপরোয়া হয়ে যাকে সামনে পেয়েছে তাদেরই কুপিয়েছে। আধিপত্য বিস্তার করতেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে ওই প্রধান পরিবার।

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। তদন্ত চলছে তাই এখন আর কিছু আপাতত বলা যাবেনা। তবে কী কারণে তাদের কোপানো হয়ে তা এখনো নিশ্চিত না। এ ঘটনায় পৃথক পৃথক অভিযোগ নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৩ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২২
এসএফ/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।