টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইল শহরের দেওলা এলাকায় রিনা আক্তার মায়া নামে এক কলেজছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
এ ঘটনায় সোমবার (২৩ মে) সকালে নিহত কলেজছাত্রীর বাবা হাবিল উদ্দিন বাদী হয়ে জামাতা ওয়াহেদুল ইসলাম প্রান্তরকে আসামি করে মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়।
এর আগে রোববার (২২ মে) সন্ধ্যায় ভাড়াটিয়া বাসা থেকে মায়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি সরকারি কুমুদিনী কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ও কালিহাতী উপজেলা মহেলা গ্রামের হাবিল উদ্দিনের মেয়ে।
রিনার পারিবারিক সূত্র জানায়, দেড় বছর আগে শহরের বিশেষ বেতকা মুন্সিপাড়া এলাকার সামাল খাঁনের ছেলে ওয়াহেদুল ইসলাম প্রান্তর সঙ্গে মায়ার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত প্রান্তর। এ কারণে মায়ার বাবা প্রান্তর বাবার কাছে অভিযোগ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রান্তর দেওলার ভাড়াটিয়া বাসায় যায়।
হাবিল উদ্দিন জানান, বাসায় অন্যদের অনুপস্থিতির সুযোগে মায়ার ওপর চড়াও হয় প্রান্তর। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর মায়ার মরদেহ গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে চিৎকার শুরু করে। প্রতিবেশীরা থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার এবং প্রান্তরকে আটক করে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
প্রান্তর বাবা সামাল খাঁন জানান, স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার একপর্যায়ে মায়া গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। তার ছেলে প্রান্তরকে অহেতুক দোষারোপ করা হচ্ছে।
টাঙ্গাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, এ ঘটনায় মেয়ের বাবা বাদী হয়ে প্রান্তরকে আসামি করে একটি হত্যার প্ররোচণার মামলা দায়ের করেছেন। প্রান্তরকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২২
আরএ