দিনাজপুর: দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে হত্যা চেষ্টা মামলার ২ তদন্তকারী কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য সমন জারি করা হয়েছে।
সোমবার (২৩ মে) এ মামলার ধার্য্য তারিখে দিনাজপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (আমলী আদালত-৭) বিচারক চাঞ্চল্যকর এই মামলার ২ তদন্তকারী কর্মকর্তাকে আগামী ৩০ মে আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দিতে সমন জারি করেছেন।
দিনাজপুর আদালত পুলিশ পরিদর্শক মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আগামী ৩০ মে তারিখে এ মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য সমন জারি করেছেন আদালত। একইদিনে এ মামলার অভিযোগপত্র প্রদানকারী কর্মকর্তাকেও আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এই দুইজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলেই চাঞ্চল্যকর এই মামলার যুক্তিতর্ক শুরু হবে।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, এ মামলার ৬১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘোড়াঘাট থানার পরিদর্শক তদন্ত মমিনুল ইসলাম, অভিযোগপত্র প্রদানকারী তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালিন ডিবি পুলিশ পরিদর্শক জাফর ইমামের সাক্ষ্যগ্রহণ হলেই মামলার সাক্ষ্য পর্ব শেষ হবে। এরপর মামলা ৩৪২ ধারায় আসামি পরীক্ষা এবং যুক্তিতর্ক শেষে রায় ঘোষণার জন্য দিন নির্ধারণ করবেন বিচারক।
জানা যায়, ২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর দিবাগত মধ্য রাতে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদের বরখাস্তকৃত মালি শফিউল ইসলাম (৩৫), তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমের সরকারি বাসভবনে প্রবেশ করে হাতুড়ি দিয়ে ওয়াহিদা ও তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওয়াহিদা খানমের ভাই পুলিশ পরিদর্শক ফরিদ উদ্দীন শেখ বাদী হয়ে পরের দিন ২ সেপ্টেম্বর ঘোড়াঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে ওই মামলাটি ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়। ওই মামলা ডিবি পুলিশ তদন্ত করে ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের বরখাস্তকৃত মালি দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার ভীমপুর গ্রামের মৃত খতিব উদ্দিনের ছেলে রবিউল ইসলামকে গ্রেফতার করে। পরে তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে আদালতে অভিযোগপত্র পেশ করেন। মামলার একমাত্র আসামি রবিউল ইসলাম দিনাজপুর কারাগারে আটক রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৩ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২২
আরএ