ঢাকা, শুক্রবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

মনোনয়ন প্রত্যাহারের আবেদন বাতিল চেয়েছেন সেই আ’লীগ প্রার্থী!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৬ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২২
মনোনয়ন প্রত্যাহারের আবেদন বাতিল চেয়েছেন সেই আ’লীগ প্রার্থী!

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডার ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. আকবর হোসেন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর আবেদনপত্রটি বাতিলের জন্য পুনরায় আবেদন করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ মে) সকালে তিনি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ওই ইউনিয়নের রির্টানিং অফিসারের কাছে তিনি আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন।

আকবর পুনরায় নির্বাচনে অংশ নিতে চেয়ে আবেদনপত্রে উল্লেখ করেন, ভয়ভীতির কারণে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণার পর প্রতিপক্ষরা তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছিল। তাকে সপরিবারে অপহরণ, গুম ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এসব আচরণের কারণে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করেন তিনি।

তবে কারা তাকে হুমকি দিচ্ছে বা কাদের চাপে পড়ে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সে বিষয়ে তিনি কিছু উল্লেখ করেননি।  

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, গত ৮ জানুয়ারি শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে আলেকজান্ডার ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন (৮৫) মারা যান। তখন থেকে চেয়ারম্যান পদটি শূন্য হয়। আগামী ১৫ জুন এ ইউনিয়নের উপনির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচনে ৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এদের মধ্যে ঋণ খেলাপির কারণে একজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। এরপর বুধবার (২৫ মে) পারিবারিক কারণ দেখিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আকবর হোসেনও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত জানিয়ে রির্টানিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেন। বাকি তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।  


এদিকে বুধবার (২৫ মে) রাতে ফেসবুকে একটি ভিডিও বার্তা দেন আকবর। ভিডিওতে প্রতিপক্ষের হুমকির কারণে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়নোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান তিনি। তবে সেখানেও সুনির্দিষ্টভাবে কারো নামোল্লেখ করেননি। এছাড়া নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টিও তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিংবা রির্টানিং কর্মকর্তাকে জানাননি। আর দলীয় কোনো নেতারাও তার এ বিষয়টি জানেন না।

এ বিষয়ে জানতে আবেদনপত্রে উল্লেখ করা মোবাইল নম্বরটিতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সেটি বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

আকবরের নিরাপত্তারহীনতার বিষয়ে জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার বিকেলে রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আকবর হেসেন নিরাপত্তাহীন ছিলেন কিনা সেটি আমাদের জানাননি। থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ বা জিডি পর্যন্ত করেননি। পুলিশকে অবহিত করলে অবশ্যই তার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হতো।  

রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল ওয়াহেদ বাংলানিউজকে বলেন, আকবর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের বিষয়টি আমাদের জানাননি। নিরাপত্তাহীনতার বিষয়েও বলেননি। তিনি বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন। ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী থাকল না। তাই জেলা নেতারা তার বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেবেন।

তাঁরা হলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম আব্বাস, মো. আবুল ফাত্তাহ ও ইসলামী আন্দোলনের মো. রিয়াজ হোসেন। আগামীকাল (২৭ মে) প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।  

শামীম প্রয়াত চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের ছেলে। পূর্বে থেকে আওয়ামী লীগের একটি পক্ষ তাকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২২
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।