ঢাকা, শনিবার, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৫ মে ২০২৪, ১৬ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

সরকার চায় সংবাদ মাধ্যমে শৃঙ্খলা থাক: আইনমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৭ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২২
সরকার চায় সংবাদ মাধ্যমে শৃঙ্খলা থাক: আইনমন্ত্রী

ঢাকা: আলোচিত ‘গণমাধ্যমকর্মী আইন বাতিল’ না চেয়ে বরং তা সংশোধনের দাবি জানানোর পরামর্শ দিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।  

তিনি বলেন, স্বাধীনভাবে খবর প্রচারের অধিকার খর্ব করে সরকার এমন কোনো আইন করবে না।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দরকার হলে আইনটি সংশোধন করা হবে। সরকার চায় সংবাদ মাধ্যমে শৃঙ্খলা থাক।

মঙ্গলবার (৩১ মে) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত গণমাধ্যমকর্মী আইন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন ও ডাটা সুরক্ষা আইন বিষয়ে 'বিএসআরএফ সংলাপ'- এ তিনি এ তথ্য জানান। বিএসআরএফ এর সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সংলাপটি সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।

গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বলতে পারি, বাংলাদেশে এমন কোনো আইন হবে না, যেটা স্বাধীন সাংবাদিকতায় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সরকার চায় সংবাদ মাধ্যমে শৃঙ্খলা থাক। ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত না করে সঠিক তথ্যদিয়ে সমৃদ্ধ করার প্রয়োজনীতা থেকেই কিছু আইন থাকতে হয়।

সাংবাদিকদের অবসরের বয়সসীমা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইনে অবসরের বয়সসীমা ৫৯ বছর বলার উদ্দেশ্য হলো, স্বেচ্ছায় কোনো সংবাদকর্মী চাইলে অবসরে যেতে পারবেন। তবে কোনো মালিক বাধ্য করতে পারবে না। এ আইনের সঠিক বাস্তবায়ন করতে, আরও পরিষ্কার করে তথ্য সংযোজন করা হবে।

আনিসুল হক বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইন সাংবাদিকদের জন্য দরকার। তারপরও এই আইনের বিষয়ে আপনাদের বক্তব্যটা যাতে দিতে পারেন সেটার জন্য আমি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে ইতোমধ্যে কথা বলেছি। সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকেও আমি বলে দেবো যাতে তারা সাংবাদিকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেন।

সাংবাদিকদের অনুরোধ জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আপনারা আইনটি পরিষ্কার করার কথা বলেন, বাতিল করার কথা বইলেন না। আইনটিতে আপনাদের সুবিধা হবে। আপনারা তিনটি আইনের কথা বলেছেন। এর সঙ্গে রয়েছে ওটিটি এবং বিটিআরসি রেগুলেশন, আমি সব গুলোর ব্যাপারে আলোচনার মধ্যে আছি।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, এটা সাংবাদিকতায় বাধা সৃষ্টির জন্য করা হয়নি। টেকনোলজির উন্নয়ন হয়েছে। এর মাধ্যমে যে অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে, সেগুলোও মোকাবিলা করতে হবে। সেজন্য আমরা এ আইন করেছি। এই আইনের অপব্যবহার বন্ধে এরই মধ্যে একটি কমিটি কাজ করছে। আগামীতে এর অপব্যবহার বন্ধ হবেই।

তিনি বলেন, এ আইনে অনেক অহেতুক মামলা করা হচ্ছিলো। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালে আমি বলেছিলাম, এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করার পর তিনি ব্যবস্থা নিয়েছেন। এ আইনে মামলা হলে সঙ্গে-সঙ্গে কাউকে যেন গ্রেফতার না করা হয়। আমরা সেই ব্যবস্থা নিয়েছি। ফলে এখন যত্রতত্র গ্রেফতার হচ্ছে না।

মন্ত্রী বলেন, দরকার হলে এ আইনটি সংশোধন করা হবে।

গুজব বন্ধের জন্য সারাবিশ্ব ব্যবস্থা নিচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদেরও ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। সেজন্য এ আইন করা হয়েছে। আমরা সেবা করতে এসেছি, ত্রুটি হলে অবশ্যই শুনবো। আমি একটা জিনিস ব্রডলি বলে দিতে চাই, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন সংবিধান উপহার দেন তখন দুটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করেছেন। একটা হলো বাক-স্বাধীনতা, আরেকটা হলো সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা। যেটা আমাদের সংবিধানে মৌলিক অধিকার হিসেবে গ্যারান্টি, সেই জিনিসটা পালটে দেওয়া হবে, সেটি হয় না।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২২
জিসিজি/এমএমজেড/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।