ফরিদপুর: চলছে জৈষ্ঠ্য মাস। এরইমধ্যে দেশের অন্যান্য স্থানের মতো ফরিদপুরে বাজারেও আম, লিচুসহ হরেক রকমের ফল দেখা মিলছে।
ফরিদপুরের বিভিন্ন শহর কিংবা বাজার এলাকার মোড়ে মোড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে তালের শাঁস। ছোট বড় প্রকার ভেদে প্রতিটির দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা দরে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। তাদের দাবি, আম ও লিচুসহ মৌসুমি অন্য ফলের ক্ষেত্রে বর্তমানে বিষাক্ত ফরমালিন ব্যবহারের ঘটনা খুবই স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। কিন্তু তালের শাঁসে এসবের প্রয়োজন হয় না। ফলে ভেজালমুক্ত তাল শাঁসের কদর বেশি।
ফরিদপুর শহরের তাল ব্যবসায়ী নাইম মোল্যা বলেন, গ্রামে গ্রামে ঘুরে তাল গাছের মালিকের কাছ থেকে শাঁস সংগ্রহ করে ফরিদপুর শহরসহ পার্শবর্তী হাটে ও মেলায় বিক্রি করি।
তিনি বলেন, প্রতিবছরই এ সময়ে আমরা তালের শাঁস বিক্রি করে থাকি। গরমের এ দিনে তালের শাঁস বিক্রিও হয় ভালো। বেশ চাহিদাও রয়েছে। পাশাপাশি দামও ভালো রয়েছে। সারাদিনে ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকার তালের শাঁস বিক্রি করে আমার ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা মুনাফা হয়।
কথা হয় তাল ব্যবসায়ী ছুরাপ মাতুব্বরের সাথে। এ তাল ব্যবসায়ী বলেন, তাল গাছ থেকে ফল কেটে আনা একটি কষ্টকর বিষয়। অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দিয়ে কেটে আনতে হয়। একটি গাছে ৩০০ থেকে ৪০০টি তাল পাওয়া যায়। জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বিক্রি শুরু হয়, চলে পুরো মাস জুড়ে।
ফরিদপুর জেলগেটের সামনের সড়কে তালের শাঁস কিনতে আসা রাকিবুল ইসলাম বলেন, এটি সুস্বাদু ফল। প্রচণ্ড গরমে তালের শাঁস খেতে ভালোই লাগে। তাইতো তালের শাঁস কিনতে এলাম।
ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মো. খবিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, তালের শাঁস শরীরের জন্য খুবই উপকারী। গরমের দিনে তালের শাঁসে থাকা জলীয় অংশ পানি শূন্যতা দূর করে। এছাড়া ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-এ বি সি সহ নানা ধরনের ভিটামিন রয়েছে। তালে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় এবং কঁচি তালের শাঁস রক্তশূন্যতা দূর করে। চোখের দৃষ্টি শক্তি ও মুখের রুচি বাড়ায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০২২
ইআর