মানিকগঞ্জ: স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আর বাকি কয়েক দিন। তার পর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ১৭টি জেলার যানবাহন ওই সেতু দিয়ে পার হতে পারবে খুব দ্রুত সময়ে।
দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের প্রায় ২১টি জেলার অন্যতম নৌপথ পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট, এই নৌরুটে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে তিন হাজার যানবাহন পারাপার হয়ে থাকে। বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষকে সিরিয়াল অনুযায়ী যানবাহন গুলোকে পার করতে হয়। এ কারণে দীর্ঘ সময় নৌপথ পারের অপেক্ষায় থাকতে হতো যাত্রী ও যানবাহনগুলোকে। সে কারণে ব্যবসা গড়ে উঠেছিল ভ্রাম্যমাণ দোকান আর হকারদের।
চলতি মাসের ২৫ জুন স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন।
পাটুরিয়ায় ফল বিক্রেতা শিবালয় উপজেলার সাকরাইল এলাকার মাঈনউদ্দীন মিয়ার ছেলে নূরুল মিয়া বলেন, আমি এক সময় গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি করতাম। করোনার সময় চাকরি চলে যায়। চাকরি হারানোর পর কোনো কাজ না পেয়ে বাধ্য হয়েই পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় ফলের দোকান দিয়েছি। পদ্মা সেতু চালু হলে এ নৌরুটে যানবাহনের চাপ কমবে। ফলে আমাদের বিক্রিও কমে যাবে।
দৌলতদিয়া ঘাটে ঝালমুড়ি বিক্রেতা মহিদুর রহমান বলেন, আমি এই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে দীর্ঘদিন ধরেই ঝালমুড়ি বিক্রি করে সংসার চালাই। শুনতাছি পদ্মা সেতু চালু হলে এই ঘাট দিয়ে আর কোনো গাড়ি আসবো না। সংসার ক্যামনে চালামু জানি না। বয়স এখন প্রায় ৫৫ বছর। এই বয়সে অন্য আর কী কাজ করমু।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ বলেন, সেতু নির্মাণেল পর থেকে অনেকেই মনে করছে, এই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাট অচল হয়ে যাবে। আসলে তা হবে না। দেশের জনসংখ্যা বাড়ছে, যানবাহন বাড়ছে। ঘাট চলবে যাবাহনও আসবে। তবে ফেরির জন্য আর অপেক্ষা করতে হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২২
নিউজ ডেস্ক