জামালপুর: অব্যাহত নদী ভাঙন রোধে বিভিন্ন দপ্তরে জানিয়েও প্রতিকার পাননি জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চরআমখাওয়া ইউনিয়নের লম্বারচর গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ। শেষ-মেষ প্রতিকার না পেয়ে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা জানিয়েছেন তারা।
জানা গেছে, নদীভাঙন রোধে প্রতিদিন সরকারের সহায়তায় আশায় চেয়ে থাকেন এ এলাকার মানুষ। গত ৪দিন যাবত সানন্দবাড়ী লম্বারচর গ্রামে সানন্দবাড়ী সেতু সংলগ্ন লম্বারচর এলাকায় তীব্র নদী ভাঙন চলছে। নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বসতবাড়ি ও ফসলি জমি। গত ৪৮ ঘণ্টায় ২০টিরও বেশি বসতঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
আরও অর্ধশত বাড়ি ভাঙনের মুখে রয়েছে। হুমকিতে রয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত জিঞ্জিরাম নদীর ওপর নির্মিত সানন্দবাড়ী সেতু। এরই মধ্যে সেতু রক্ষা বাঁধের ৫০ মিটার ধসে গেছে। এমনটি চলতে থাকলে খুব কম সময়ের ক্ষতিগ্রস্ত হবে সেতুটি। সেতু এবং বাঁধটি রক্ষণাবেক্ষণ করে জামালপুর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ।
স্থানীয় সওজ বিভাগ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) একে অপরের ফাইল চালাচালিতে নদী ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। ফলে চরম হুমকির মুখে রয়েছে ব্রিজটি। স্থানীয়রা গাছের ডালপালা ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করলেও ঠেকানো যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে স্থানীয় চরআমখাওয়া ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউল হক জানান, আমরা এলাকার মানুষকে নিয়ে গাছের ডালপালা, বাঁশ দিয়ে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছি। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে জামালপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাইদ জানান, সেতুটি সওজ বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন। তারাই নদী ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেবে। তবে যদি তারা কারিগরি সহযোগিতা চায়, তাহলে আমাদের পক্ষ থেকে তা দেওয়া হবে।
এদিকে জামালপুর সওজ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থলে লোক পাঠানো হয়েছে। খুব শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, ১৮ জুন, ২০২২
এমএমজেড