ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১৯ দফা দাবিতে সমাবেশের প্রস্তুতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৮ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২২
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১৯ দফা দাবিতে সমাবেশের প্রস্তুতি

কক্সবাজার: কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১৯ দফা দাবিতে সমাবেশ করার প্রস্তুতি নিয়েছে রোহিঙ্গারা।

আগামী সোমবার (২০ জুন) কয়েকটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একযোগে হতে পারে এ সমাবেশ।

যদিও বিষয়টি নিয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি কক্সবাজারস্থ শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।

৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরান হোসেন বলেন, রোহিঙ্গাদের এ রকম একটি সমাবেশ আয়োজনের কথা শুনেছি। তবে বিস্তারিত জানা যায়নি।

ইতোমধ্যে সমাবেশের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ১৯ ও ১৩ দফা দাবি সম্বলিত পৃথক দুটি প্রচারপত্র ছাপিয়েছে রোহিঙ্গারা।

দুটি প্রচারপত্রে আরকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএইচপিএইচ) লোগো রয়েছে। যার মধ্যে ১৯ দাবি সম্বলিত প্রচারপত্রটিতে কারও স্বাক্ষর না থাকলেও ১৩ দফা দাবি সম্বলিত প্রচারপত্রে দুই সদস্যের স্বাক্ষর রয়েছে। দুই সদস্য হলেন- ডা. তৈয়ব ও এমডি মো. রেজা।

প্রচারপত্রের দাবিগুলো হলো- রাখাইনে বসবাসরত অন্যান্য জাতি গোষ্ঠীর মতোই আমাদের মূল অধিকার পুনরুদ্ধার করা, রোহিঙ্গাদের রোহিঙ্গা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সীমাবদ্ধ হতে হবে, মিয়ানমার ট্রানজিট ক্যাম্পে অবস্থানের সময়সীমা কমানো, প্রত্যেক রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসন করা, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নিজ গ্রামে প্রত্যাবাসন করা, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় ইউএস, এলআইএন, ওআইসি, ইউকে, ইইউ, আসিয়ান, বাংলাদেশ, এনজিও ইত্যাদি দেশ ও এনজিওদের সম্পৃক্ত করা, রোহিঙ্গারা ঘরে ফেরার সময় আরাকানে আর টু পি নিরাপত্তা দেওয়া,  রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সন্ত্রাসী হিসেবে অভিযুক্ত করে কোনোভাবে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বন্ধ না করা, আন্তর্জাতিক মিডিয়া আরকানের প্রত্যেক এলাকাতে পরিদর্শনের অনুমোদন দেওয়া, ১৯৮২ সালের নাগরিক আইন বাতিল করা, প্রত্যাবাসনের আগে কারণবশত আরাকানে আইডিপি ক্যাম্প যতটুকু সম্ভব বাতিল করা, রোহিঙ্গাদের সম্পদ ফিরিয়ে দেওয়া, জমি থেকে বাজেয়াপ্তকৃত চিংড়ি পুকুর, চারণভূমি রোহিঙ্গাদের দেওয়া ইত্যাদি।

২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট এ সংগঠনটির ব্যানারে বড় একটি সমাবেশ হয়েছিল। যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহ। যিনি গত বছরের (২০২১) ২৯ সেপ্টেম্বর দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন।

ইতোমধ্যে মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলার অভিযোগপত্রে হত্যাকাণ্ডের জন্য মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরসাকে দায়ী করা হয়েছে। মুহিবুল্লাহ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পক্ষে জনমত গঠন করায় তাকে হত্যা করা হয় বলেও উল্লেখ করা হয় অভিযোগপত্রে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২২
এসবি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।