ঢাকা, সোমবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ফেনীতে ৮ গ্রাম প্লাবিত, ত্রাণ নয় বাঁধের স্থায়ী সমাধান দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৭ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২২
ফেনীতে ৮ গ্রাম প্লাবিত, ত্রাণ নয় বাঁধের স্থায়ী সমাধান দাবি

ফেনী: গত কয়েকদিনের টাকা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফেনীর মুহুরি-কহুয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ১ দশমিক ২৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ফুলগাজী উপজেলায় মুহুরি নদীর বেড়িবাঁধের দুটি স্থান ভেঙে ৮টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

সোমবার (২০জুন) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর দৌলতপুরের একটি স্থানে মুহুরি নদীর বাঁধ ভাঙা। সেখান দিয়ে পানি ঢুকে উত্তর দৌলতপুর, মধ্যম দৌলতপুর ও দক্ষিণ দৌলতপুর, কিসমত ঘনিয়ামোড়া, বরইয়ার নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

দেড়পাড়ায় একটি স্থান ভেঙে নিলক্ষী, উত্তর শ্রীপুর, দক্ষিণ শ্রীপুর, ঘোষাইপুর গ্রামের নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে। পানির তোড়ে এসব গ্রামগুলোর অনেক ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুকুরের মাছ ও বীজতলা।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রতি বছরে বর্ষায় অতি বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে এসব স্থানের নদীর বাঁধ ভেঙে যায়। নদীর পানি গ্রামের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়লে গ্রামবাসীর ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়। ঘরবাড়ি, শত শত পুকুরের মাছ ও ফসল পানির তোড়ে ভেসে যায়।

তাদের অভিযোগ, প্রতি বছর ভাঙনের পর জায়গাগুলো নামমাত্র মেরামত করা হয়। কিন্তু বাঁধের স্থায়ী সমাধান হয় না। তাদের দাবী, নদী শাসনের মাধ্যমে সংস্কার করা হলেই এ ভাঙন রোধ সম্ভব হবে। স্থানীয়রা ভাঙন কবলিত এলাকায় ত্রাণজাতীয় সাহায্য চান না। বাঁধের স্থায়ী সমাধান হোক, এটাই তাদের দাবি।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন বলেন, মুহুরি-কহুয়া নদীর পানি বিপদসীমার ১ দশমিক ২৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেছি। পানি নেমে গেলে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হবে। স্থানীয় বাঁধ নির্মাণে একটি প্রকল্প পাস হয়েছে বলেও তিনি জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, ২০ জুন, ২০২২
এসএইচডি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।