ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৩০ মে ২০২৪, ২১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

দোহারে পদ্মায় বাড়ছে পানি, ফসলি জমিসহ ভাঙছে ঘরবাড়ি

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৭ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২২
দোহারে পদ্মায় বাড়ছে পানি, ফসলি জমিসহ ভাঙছে ঘরবাড়ি

নবাবগঞ্জ (ঢাকা): ঢাকার দোহার উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে চলা পদ্মা নদীর পানি গত দুই সপ্তাহ ধরে বাড়ছে।  এতে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে এ উপজেলায়।

এরই মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি।  

জানা যায়, পদ্মার তীরবর্তী বিলাসপুর, কুতুবপুর, হাজারবিঘা, দেবিনগর, কুলছুরি ও সুতারপাড়ার মধুরচর এলাকায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে প্রায় ১১০টি পরিবার ঘরবাড়ি হারিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। অনেকে আবার মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে প্রতিবেশীদের বাড়ি বেছে নিয়েছেন।

পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। এরই মধ্যে পদ্মার সমস্ত শাখা খালে ব্যাপকভাবে পানি ঢুকে পড়েছে। ভাঙনের পাশাপাশি যে কোনো সময় ভয়াবহ বন্যা হতে পারে।

পদ্মার ভাঙনের শিকার পরিবারগুলোর দাবি, সরকার নদী ভাঙন রোধে দ্রুত বাঁধ নির্মাণ করার ব্যবস্থা করুক।  

দোহারের বিলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ চোকদার বলেন, গ্রামবাসীদের নিয়ে প্রায় তিন কিলোমিটার নদী তীরবর্তী এলাকায় বাঁশ দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করেছি। এখনও কাজ চলছে স্বেচ্ছাশ্রমে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন ভাইকে জানানো হয়েছে।

দোহার উপজলো নির্বাহী র্কমর্কতা (ইউএনও) মোবাশ্বের আলম বলেন, এরই মধ্যে দোহার-নবাবগঞ্জের এমপি ও জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ভাঙনকবলিত ১১০টি পরিবারের জন্য মানবিক সহায়তা হিসেবে শুকনো খাবারের প্যাকেট, দুই মেট্রিক টন চাল ও নগদ তিন লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে।

দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন জানান, ২১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে দোহারে পদ্মা নদীর বাম তীরের সাড়ে ছয় কিলোমিটার সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। ভাঙনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা এমপি সালমান ফজলুর রহমানকে জানানো হয়েছে। তিনি শিগগিরই দোহারের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধান করবেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৪ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২২
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।