ঢাকা, শনিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১১ মে ২০২৪, ০২ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

শিক্ষক হত্যা: জিতুর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৬ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২২
শিক্ষক হত্যা: জিতুর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি

সাভার (ঢাকা): সাভারের আশুলিয়ায় হাজী ইউনুছ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষককে স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করার ঘটনায় হত্যাকারী আশরাফুল ইসলাম জিতু ওরফে জিতু দাদার (১৯) সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের পাশাপাশি ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন ও জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনার দাবিতে মানববন্ধন করেছে এ অঞ্চলের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) বেলা ১২ টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক সংলগ্ন সাভার উপজেলা পরিষদ গেটে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

এছাড়া একই দাবিতে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

এ সময় ফেডারেশন অব কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন সাভারের পক্ষ থেকে উপজেলা নিবার্হী অফিসারের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কাছে এক স্বারকলিপি দেওয়া হয়। অন্তত ২১টি শিক্ষক সংগঠনের সহস্রাধিক শিক্ষক এই মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে ফেডারেশন অব কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন সাভারের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জিতু বলেন, শিক্ষার্থীর হাতে শিক্ষক হত্যার মতো এমন নেক্কারজনক ঘটনার সাক্ষীও আমাদের হতে হচ্ছে, এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়, আমাদের শিক্ষকরা আজ নিরাপদ বোধ করছেন না। আমরা সরকারকে ধন্যবাদ জানাই দেরিতে হলেও ঘটনার মূল আসামি জিতুকে গ্রেফতার করার জন্য, একইসঙ্গে দাবি জানাই দ্রুত এই মামলার বিচার কার্য শেষ করে তার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের, পাশাপাশি নিহত শিক্ষকের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়াসহ অতি দ্রুত ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনেরও দাবি জানাই আমরা।

মানববন্ধনে অংশ নিয়ে হাজী ইউনুস আলী কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের একটি অন্যতম দাবি হচ্ছে দ্রুত ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী জিতুর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা, যাতে আর কখনো কোনো শিক্ষকের ওপর এমন হামলা করার সাহস কেউ দেখাতে না পারে। আর কেউ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখার দাবি রয়েছে আমাদের।

গত শনিবার (২৫ জুন) দুপুরে হাজী ইউনুস আলী কলেজে মেয়েদের ক্রিকেট খেলা চলার সময় পেছন থেকে শিক্ষক উৎপলকে কাঠের স্টাম্প দিয়ে হামলা করে জিতু দাদা নামের এক ছাত্র। পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে একদিন পর রোববার (২৬ জুন) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

এঘটনায় রোববারই নিহতের ভাই অসীম কুমার সরকার বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় জিতুর নামে একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার চারদিন পর জিতুর বাবাকে কুষ্টিয়া থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে ও জিতুকে গাজিপুর থেকে র‌্যাব গ্রেফতার করে।  
এদিকে আদালত জিতুর বাবাকে ৫ দিনের রিমান্ডে দিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২২ 
এসএফ/এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।