ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পলাশে যুবকের দুই হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন, গ্রেফতার ২

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০২ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০২২
পলাশে যুবকের দুই হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন, গ্রেফতার ২ গ্রেফতার দুইজন

নরসিংদী: নরসিংদীর পলাশে হাদিউল ইসলাম (১৯) নামে এক যুবকের দুই হাতের কব্জি কাটার ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।  

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন- পলাশ উপজেলার নোয়াকান্দা গ্রামের মৃত আক্কাস আলীর ছেলে জালাল মিয়া (৪২) ও শিবপুর উপজেলার মিয়ারগাঁও এলাকার আলফাজ উদ্দিনের ছেলে ফারুক মিয়া (৩৫)।

গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃত দু’জনসহ অন্যান্য আসামিরা চাকরি দেওয়ার কথা বলে গত ২৮ জুন শিবপুর উপজেলার বাড়ৈগাঁও দক্ষিণপাড়ার মোর্শেদ মিয়ার ছেলে হাদিউল ইসলামকে পলাশ উপজেলার নোয়াকান্দা এলাকায় নিয়ে যান। পরে রাত দেড়টার দিকে শহিদুলের কলাবাগানে নিয়ে হাত পা ও চোখ বেঁধে ফেলে মারধর করা হয়। সে সময় চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হাদিউলের দুই হাত থেকে কব্জি বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়। পরে অভিযুক্তরা হাত এবং মুখের বাধঁন খুলে চলে গেলে চিৎকার দেন হাদিউল। খবর পেয়ে পলাশ থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এ ঘটনায় রোববার আহত হাদিউলের বাবা মোর্শেদ মিয়া বাদী হয়ে জালাল (৪২), বৃষ্টি বেগম (২৫), সাজ্জাদ হোসেন (২০) ও রুপাকে (৩৫) আসামি করে পলাশ থানায় মামলা করেন। পরে আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে জালাল ও ফারুককে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ।  

নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার বাংলানিউজকে বলেন, হাদিউলের সঙ্গে তার চাচী বৃষ্টি বেগমের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। এই পরকীয়ার জেরেই হাদিউলকে ডেকে নিয়ে হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়। আর গ্রেফতারকৃত জালালের নামে ডাকাতি ও খুনসহ ১২টি মামলা বিচারাধীন। গ্রেফতারদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০২২
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।