ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঢাকা দক্ষিণে নির্দিষ্ট স্থানে পশু জবাইয়ের ব্যবস্থা নেই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৮ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০২২
ঢাকা দক্ষিণে নির্দিষ্ট স্থানে পশু জবাইয়ের ব্যবস্থা নেই

ঢাকা: ঈদুল আজহায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির পশু জবাইয়ের ব্যবস্থা নেই। বাসিন্দারা ওয়ার্ডভিত্তিক নিজেদের মতো করেই পশু জবাই দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

কোরবানির পশু জবাইয়ে সুনির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা সংক্রান্ত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র তাপস বলেন, শুধু জাজেস কোয়ার্টার ও অফিসার্স কোয়ার্টারের জন্য তিনটি সুনির্দিষ্ট স্থানে আমরা কোরবানির পশু জবাইয়ের ব্যবস্থা করছি। ওয়ার্ডভিত্তিক কোনো নির্দিষ্ট স্থানে পশু জবাইয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। এলাকাবাসী ওয়ার্ডভিত্তিক নিজেদের মতো করেই পশু জবাই দেবেন। তবে জবাইয়ের পরপর দুপুর ১২টার মধ্যেই তারা সেই পশুর বর্জ্য আমাদের (ওয়ার্ডভিত্তিক) নির্দিষ্ট বর্জ্য সংগ্রহকারীর মাধ্যমে বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রে পৌঁছে দেবেন।

বুধবার (৬ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর বকশিবাজারস্থ উমেশ দত্ত সড়কের প্রশস্তকরণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন পরিচালিত উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মেয়র এ কথা বলেন।

জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদ জামাতের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম চলমান রয়েছে জানিয়ে ঢাকাবাসীকে জাতীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায়ের আহ্বান জানান মেয়র তাপস। ঈদের দিন সকাল ৮টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া রাজধানীর পুরান ঢাকাবাসীর প্রত্যাশা অনুযায়ী উমেষ দত্ত সড়ককে ৫০ ফুট প্রশস্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র। তিনি বলেন, আমাদের পুরাতন ঢাকার চকবাজার, বকশিবাজার এলাকার এই রাস্তাটি অত্যন্ত সরু। সড়কটি প্রশস্ত করার জন্য এই এলাকার জনগণের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল। আমরা সড়কটি প্রশস্ত করার উদ্যোগ নিয়েছি। ৪০ ফুট মূল সড়ক এবং ২ পাশে ৫ ফুট করে ১০ ফুট হাঁটার পথ (ফুটপাত)। সবমিলিয়ে ৫০ ফুট প্রশস্ত একটি সড়ক ব্যবস্থা আমরা পুরাতন ঢাকার মানুষকে উপহার দেবো।

খেলার মাঠে পশুর হাট প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, আমরা বলেছি—আমাদের কোনো খেলার মাঠে হাট দেওয়া হবে না। আমরা খেলার মাঠে হাট দেয়নি। এবার হাটের সংখ্যাও আমরা কমিয়ে দিয়েছি এবং আরও দূরবর্তী বিস্তৃত করেছি। মাত্র ১০টি হাট দেওয়া হয়েছে। সেই হাটগুলোতে যদি কোনো ইজারাদার কোনো শর্ত ভঙ্গ করেন, তাহলে আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে। কোনোরকম বিশৃঙ্খলা হোক আমরা সেটা কোনোভাবেই কামনা করব না।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী, দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল, অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মেরীনা নাজনীন, অঞ্চল-২ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সুয়ে মেন জো ও  অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা বাবর আলী মীর, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাকের, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডসমূহের কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২২
এইচএমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।