ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

যেখানে খুশি নামাজ পড়তে যান, নিরাপত্তার দায়িত্ব পুলিশের 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০২২
যেখানে খুশি নামাজ পড়তে যান, নিরাপত্তার দায়িত্ব পুলিশের  ছবি: জি এম মুজিবুর

ঢাকা: ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, নগরবাসীদের সবাই যেখানে খুশি নামাজ পড়তে যান, আপনাদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব মহানগর পুলিশের।

শুক্রবার (৮ জুলাই) রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ মাঠে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, বৃষ্টির দিন যেহেতু তাই ঈদগাহে ছাতা নিয়ে আসা যাবে। সবাইকে বলবো যাতে মোবাইল ডিভাস সঙ্গে না আনেন, যদি আনেন তাহলে যাতে হাতে রাখেন। অনেকেই নামাজ শেষে তার মোবাইল খুঁজে পান না। ঈদ জামাতে মুসল্লিদের মধ্যে অনেকেই অসৎ উদ্দেশ্যে আসেন, যাদেরকে আলাদা করা কঠিন। এছাড়া সঙ্গে অন্য কোনো ব্যাগ আনবেন না।

তিনদিন আগে কোভিডে ১২ জন মারা গেছেন। তাই কোভিডে আক্রান্তের হার ও মৃত্যুর সংখ্যা নিশ্চিন্ত হওয়ার মতো অবস্থায় নাই। তাই আপনারা যারা ঈদগাহে আসবেন নুন্যতম যেন মাস্ক পরে আসেন।

জাতীয় ঈদগাহ ময়দানসহ ঈদ জামাতগুলোতে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে। যেখানে খুশি নামাজ পড়তে যান, নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব মহানগর পুলিশের।

তিনি বলেন, ঈদুল আজহায় গরুর হাট ব্যবস্থাপনা আর মানুষের নির্বিঘ্ন যাতায়াত স্বাভাবিক রাখা বড় দুটি কাজ। হাটের অবস্থা এখন পর্যন্ত ভালো। ছিনতাই-মলম বা অজ্ঞানপার্টির কোনো অভিযোগ এখনো পাওয়া যায়নি।

আজ থেকে মূলত ঢাকার বাসীন্দাদের কোরবানির পশু ক্রয় শুরু হবে। এবার প্রচুর অনলাইনে পশু বেচাকেনা হচ্ছে তাই হাটে ভিড় কম। যারা হাটে যাবেন আপনাদের নিরাপত্তায় পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। অতিরিক্ত হাসিল যেন আদায় করতে না পারে সেদিকেও খেয়াল রাখা হচ্ছে।

জালটাকা ঠেকাতে আমাদের বিভিন্ন ইউনিট অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদেরকে জাল টাকা শনাক্তের মেশিন দিয়েছে। হাটে যে কোনো মানুষের সন্দেহ হলে আপনারা আমাদের কাছ থেকে যাচাই করে নেবেন।

ডিএমপি কমিশনার আরো বলেন, ঈদে অনেকে বাসা ফাঁকা রেখে চলে যান। তাই যাবার সময় নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে যাবেন। মূল্যবান সম্পদ নিরাপদ হেফাজতে রেখে যাবেন। নিজ থেকে নিরাপত্তা বিধান করে রাখাই উত্তম। সারা পৃথিবীতে মূল্যবান সম্পদ যেমন স্বর্ণ-টাকা ব্যাংকে রাখা হয়। তাই এসব মূল্যবান সম্পদ থাকলে নিরাপদ স্থানে রেখে যাবেন।

আবাসিক এলাকায় প্রোগ্রাম করে পুলিশ দেওয়া আছে। সকল ভবনের নিরাপত্তা রক্ষীদেরকে পুলিশের পক্ষ থেকে ব্রিফ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

মার্কেট-ব্যাংকের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৫ দিন আগেই মিটিং করে ব্যাংকের নিরাপত্তা কর্মীদের সতর্ক করা হয়েছে। আর সাধারণত এই সময়ে স্বর্ণের মার্কেটে চুরির ঘটনা ঘটে, আর এতে স্বর্ণের মার্কেটের নিরাপত্তারক্ষীরাই বেশিরভাগ সময় জড়িত থাকে। তাই ডিএমপির প্রত্যেকটা স্বর্ণের মার্কেটে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রত্যেকের ডাটাবেজ পুলিশের কাছে আছে। কেউ অপকর্ম করে পালিয়ে যেতে পারবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০২২
পিএম/এসআইএস  
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।