ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

বরগুনায় জোয়ারের পানিতে উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২২
বরগুনায় জোয়ারের পানিতে উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত

বরগুনা: উপকূলীয় জেলা বরগুনায় গত কয়েক দিন ধরে প্রায় সব নদ-নদীর পানি আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। বিভিন্ন জেলার প্রধান নদী ও খালের এলাকার নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হয়েছে।

নদীর পানি বেড়ে প্রবাহিত হচ্ছে বিপদসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে।

বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিষখালি নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানি ৩ দশমিক ২৩ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে (স্বাভাবিক জোয়ার ২.৮৫) বিপদসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পায়রা, বিষখালী, বলেশ্বর ও হরিণঘাটা ছাড়াও খাকদোন, টিয়াখালী নদী, টিয়াখালী দোন, বগীরখাল, বেহুলা নদী, নিদ্রাখালসহ জেলার প্রধান নদী ও খালের এলাকার নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হয়েছে। এর বাইরেও কিছু কিছু এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করেছে।

বরগুনার তালতলীতে তেতুলবাড়িয়া এলাকায় জোয়ারের তোড়ে বাঁধ ভেঙে তিনদিন ধরে পানিতে ডুবে গেছে আটটি গ্রাম। সাধারণ মানুষের চলাচলে দেখা দিয়েছে চরম ভোগান্তি। এমনকি গত কয়েকদিন ধরে পানিতে রান্নাঘর ডুবে যাওয়ায় রান্না বন্ধ হয়ে গেছে কয়েক শ' পরিবারের।

এছাড়া বেড়িবাঁধের ১০০ মিটার এলাকা ভেঙে গেলে কমপক্ষে ৭০টি মাছের ঘের ও কয়েক শ' বাড়ি প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারের পানির তোড়ে একাধিক স্থাপনা ও বসত ঘর ভেসে যাওয়ার পাশাপাশি কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমনের বীজতলা নষ্ট হওয়ার সংখ্যাও রয়েছে অনেক।

অন্যদিকে বরগুনা পৌর শহরের প্রধান সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে করে সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী ও সাধারণ মানুষ, ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। পানিতে ডুবে দোকানের মালামাল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বেড়িবাঁধের বাইরে সরকারি আবাসনসহ বরগুনায় তিনটি ফেরিঘাটের গ্যাং ওয়ে পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে করে দুই পাড়ের পন্যবাহী গাড়িসহ সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

বরগুনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের তথ্য বিভাগের হিসেব অনুযায়ী জেলার বিভিন্ন স্থানে কমপক্ষে ৩০০টি প্রাকৃতিক খাল রয়েছে। আর মোট ১৬০ বর্গ কিলোমিটার নদী রয়েছে যা জেলার মোট আয়তনের ২২ ভাগ।

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপকারী মাহাতাব হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বরগুনার প্রধান তিনটি নদীতে আলাদাভাবে পানি পরিমাপ করা হয়েছে। তবে বিষখালী ও খাকদোন নদীর পানি বিপদসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে মাজের চরসহ নদী তীরবর্তী নিচু এলাকার বসতবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২২
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।