ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ মে ২০২৪, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

সোনারগাঁয়ে সরকারি জায়গা দখল করে দোকান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২২
সোনারগাঁয়ে সরকারি জায়গা দখল করে দোকান

নারায়ণগঞ্জ : সোনারগাঁয়ে সরকারি জায়গা দখল করে অবৈধভাবে দোকান নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে মনিরুজ্জামান মনির নামে ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্যের বিরুদ্ধে।

স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমানের যোগসাজশে নোয়াগাঁও ইউনিয়নের পরমেশ্বরদী বাসট্যান্ড এলাকায় এ স্থাপনা নির্মাণ করা হয় বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

সম্প্রতি পরমেশ্বরদী বাসট্যান্ড এলাকার কয়েকটি বড় আকৃতির রেইনট্রি কড়ই গাছ কেটে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। খবর পেয়ে এ কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় স্থানীয় প্রশাসন পরবর্তীতে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে ঈদের ছুটিতে দোকান নির্মাণ কাজ শেষ হয়।

জানা গেছে, উপজেলার বারদি ইউনিয়নের পরমেশ্বরদী পুরান বাসট্যান্ড এলাকায় নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মনিরুজ্জামান মনির সরকারি জায়গা দখল করে দোকান পাট নির্মাণ করেন। এসব স্থাপনার কারণে সেখানে প্রতিনিয়ত যানজটের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বারদি বাজারের পুরাতন ব্রিজের দক্ষিণ পাশে সরকারি জায়গা দখল করে বিএনপি নেতা আব্দুল জব্বার, উত্তর দিকে কিছু অংশ নিয়ে দোকান করেন কবির হোসেন, ইমরান, শামীম ও মাসুম মোল্লা। নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মনির হোসেনও একটি অংশ দখল করেন। তার অংশে দোকান নির্মাণ হয়ে গেছে। অথচ, এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন নীরব।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, মনির মেম্বার কোনো প্রকার লিজ ছাড়াই সরকারি সম্পত্তি ও নদীর জায়গা দখল করে দোকানঘর নির্মাণ করছেন। এতে সেখানকার রাস্তায় যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়ার প্রভাবে বিভিন্ন স্থানে জায়গা দখল ও সরকারি গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে কেউ প্রতিবাদ করলেই হামলা ও মামলার ভয় দেখান। ঈদের ছুটির সুযোগ পেয়ে দোকানঘর নির্মাণ কাজ শেষ করেছেন।

তারা অভিযোগ করে আরও বলেন, পরমেশ্বরদী পুরাতন ব্রিজ এলাকায় পরিত্যক্ত জায়গা প্রভাবশালীরা দখল করে নিয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা, চেয়ারম্যান, ভূমি কর্মকর্তাদের যোগসাজশে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় এসব দখল কাজ চলছে। এর আগেও ওই এলাকায় কয়েকটি জায়গা ভূমি কর্মকর্তাকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে দখল করা হয়েছে।

জানা গেছে, দোকান নির্মাণের আগেই মনির মেম্বার স্থানীয় কয়েকজনের কাছ থেকে লাখ খানেক টাকা নিয়েছেন ভাড়া দেওয়ার জন্য। সরকারি জায়গায় তিনি নিজে দোকান ভাড়া পরিচালনা করেন।

নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামসুল আলম বলেন, নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ঈদের ছুটির সুযোগ নিয়ে মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে।

অভিযুক্ত নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মনিরুজ্জামান মনির বলেন, মার্কেটের জায়গা লিজের জন্য আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু লিজ পাওয়ার আগেই কেন দোকান করা হলো, সে ব্যাপারে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।

সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদ এলাহী বলেন, সরকারি জমিতে কোনো প্রকার দোকান নির্মাণ করা হলে তা ভেঙে দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার যোগসাজশের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময় : ১৮৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২২
এমআরপি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।