ঢাকা, বুধবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২২ মে ২০২৪, ১৩ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

'সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়তে হলে সাংস্কৃতিক কর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে'

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২২
'সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়তে হলে সাংস্কৃতিক কর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে' সম্মেলনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। ছবি: রাজীন চৌধুরী

ঢাকা: সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়তে হলে সাংস্কৃতিককর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সংগীত ঐক্য বাংলাদেশের মহাসচিব ও গীতিকবি সংঘ বাংলাদেশের সভাপতি শহীদ মাহমুদ জঙ্গী।

শনিবার (১৬ জুলাই) রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে সংগীত ঐক্য বাংলাদেশের জাতীয় সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

খেলার মাঠ দখল হয়ে গেছে, ঘরে ঘরে সংগীত বন্ধ হয়ে গেছে উল্লেখ করে শহীদ মাহমুদ জঙ্গী বলেন, গানকে যদি ঘরে ঘরে পৌঁছাতে পারি, তবেই সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করা সম্ভব।

সংগীত শিল্পী বাপ্পা মজুমদারের ফেসবুক পোস্ট উল্লেখ করে শহীদ মাহমুদ বলেন, বাপ্পা স্ট্যাটাস দিয়েছেন, 'হায় অসাম্প্রদায়িকতা! গতকাল পর্যন্ত ৫টা কমেন্ট! তারমধ্যে একটা আমার। লোকে এখন সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কথা বলতে ভয় পায়।  

সম্মেলনে প্রধান অতিথির উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলার মাটির সঙ্গে মিশে আছে সংগীত। ইতিহাস-কৃষ্টিতে জড়িয়ে আছে সংগীত। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, কৃষক ফসল বুনতে গান করে, মাঝি দাঁড় টানে গান গেয়ে, মা গান গেয়ে শিশুকে ঘুম পড়ান।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে কোনো শিল্পী নিজে কিছু পাননি। তারা নিজেদের ডেডিকেশন, মেধা-মনন দিয়ে নিঃস্বার্থ গান গেয়ে চলেছেন।

শিল্পীদের ১৮ দফা দাবির বিষয়ে ঐক্যমত পোষণ করে স্পিকার বলেন, সুসংগঠিতভাবে তিনটি সংগঠন এক হয়েছে, সেটার মধ্যে দিয়ে কার্যকর ফল আসবে। সংগীতশিল্পীদের জন্য যেসব অনুষ্ঠান হয় টেলিভিশন-রেডিও'তে সেখানে কীভাবে শিল্পীরা লাভবান হতে পারে সেটা দেখতে হবে।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

তিনি বলেন, সংগীতের জাত-ধর্ম-রং নেই, সংগীত মানুষের জন্য।

সংগীতের রয়্যালটি নিশ্চিত করতে হবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী খালিদ বলেন, কপিরাইট আইন জাতীয় সংসদে দ্রুতই পাস হবে।

সম্মেলনে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সিংগার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ও সংগীত ঐক্য বাংলাদেশ মহাসচিব কুমার বিশ্বজিৎ, মিউজিক কম্পোজার্স সোসাইটি বাংলাদেশের সভাপতি ও সংগীত ঐক্য বাংলাদেশের অন্যতম মহাসচিব নকীব খান।

সংগীত ও সংগীত সংশ্লিষ্ট সবার কল্যাণার্থে সম্মেলনে ১৮ দফা দাবি জানায় সংগঠনটি।

দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো- মৌলিক সংগীত কর্মে মূল রচয়িতাদের স্বীকৃতি ও অর্থনৈতিক অধিকার কপিরাইট আইনের সংশোধন ও বাস্তবায়ন, কপিরাইট সমিতি নিশ্চিত করা, প্রতি বছর মিউজিক্যাল ইম্পর্ট্যান্ড পার্সন (এমআইপি) ঘোষণা, রয়্যালটি নীতিমালা তৈরি, সংগীতের সব শাখায় গুণী ব্যক্তিদের জাতীয় পদক প্রচলন, গীতিকবি, সুরকার, যন্ত্রশিল্পী, কণ্ঠশিল্পীসহ সংগীত সংশ্লিষ্টদের জন্য কল্যাণ তহবিল গঠন, ওপেন স্পেসসহ একটি পূর্ণাঙ্গ অডিটোরিয়াম ও সংগীত একাডেমি স্থাপন।

বাংলাদেশ সময়: ২২৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২২
এনবি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।