ফরিদপুর: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় একটি দাখিল মাদরাসার সুপারের বিরুদ্ধে সনদ বাবদ টাকা দাবি এবং এক অভিভাবকের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভুক্তভোগী অভিভাবক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবরে একটি আবেদন করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বোয়ালমারী পৌরসভার আঁধারকোঠা এলাকায় অবস্থিত আল হাসান মহিলা দাখিল মাদরাসা থেকে আসমা নামে একজন শিক্ষার্থী ২০১৯ সালে জেডিসি পাস করে।
রোববার (১৭ জুলাই) ওই শিক্ষার্থীর বাবা বোয়ালমারী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. সাখাওয়াত শেখ মেয়ের জেডিসি সনদ আনতে মাদরাসায় যান। এ সময় ওই মাদরাসার সুপার এম এ কুদ্দুস তার কাছে সনদ বাবদ এক হাজার টাকা দাবি করেন। একপর্যায়ে সুপার ওই ছাত্রীর অভিভাবকের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণও করেন। পরে অভিভাবক মো. সাখাওয়াত শেখ এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করেছেন।
ওই ছাত্রীর বড় বোন রাবেয়া বলেন, বাবার সঙ্গে আমি ওই মাদরাসায় গিয়েছিলাম। সনদ চাইলে তিনি সনদ বাবদ এক হাজার টাকা চান। আমরা ৫শ টাকা পর্যন্ত দিতে চাই। কিন্তু তিনি রাগ করে আমাদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেন। একপর্যায়ে সনদ আলমারির মধ্যে আটকে রাখেন।
রাবেয়া আরও বলেন, ওই অধ্যক্ষের জন্য আমার আরেক বোনেরও শিক্ষা জীবনের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একপর্যায়ে রেগে অধ্যক্ষ বলেন, টাকা নাই তো সনদ নাই।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মাদরাসাটির সুপার এম এ কুদ্দুস বলেন, সনদ বাবদ আমি কোনো টাকা চাইনি। ওই অভিভাবককে বলেছি যার সনদ তাকে নিয়ে যেতে।
সোমবার (১৮ জুলাই) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম এ ব্যাপারে বলেন, লিখিত অভিযোগ এখনো হাতে পাইনি। হয়তো অফিসে জমা দিয়েছে। অভিযোগ হাতে পেলেই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২২
আরএ
