ঢাকা, সোমবার, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৩ জুন ২০২৪, ২৫ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

জেলেদের চাল আত্মসাতের মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান জেল হাজতে  

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২২
জেলেদের চাল আত্মসাতের মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান জেল হাজতে  

চাঁদপুর: নিষেধাজ্ঞা চলাকালে চাঁদপুর সদরে পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশের অভয়াশ্রমের অংশে জাটকা ধরা থেকে বিরত থাকা জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত ৪.১ মেট্রিকটন চাল আত্মসাতের মামলায় কল্যাণপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. সাখাওয়াত হোসেন রনিকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২৪ জুলাই) দুপুরে মামলার ধার্য তারিখে উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলাটির শুনানি শেষে আসামিকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন জেলা ও দায়রা জজ এস এম জিয়াউর রহমান।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, গত ১৮ মে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কল্যানপুর ইউনিয়নের নিবন্ধিত ৬৭১ জন জেলের মধ্যে চাল বিতরণ করার সময় ইউনিয়ন পরিষদের দু’টি গোডাউনে বরাদ্দকৃত ৫৩.৬৮ মেট্রিকটন চালের স্থলে ৪৯.৬০ মেট্রিকটন চাল পাওয়া যায়। ৪.১ মেট্রিকটন চাল কম থাকায় তাৎক্ষণিক বিতরণ কাজে নিয়োজিত ট্যাগ অফিসার উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানিজদা শাহনাজকে জানান এবং ওই দিনই চাঁদপুর মডেল থানায় তিনি বাদী হয়ে চেয়ারম্যান মো. সাখাওয়াত হোসেন রনিকে আসামি করে মামলা করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে এবং পুলিশের উপস্থিতিতে চালের দু’টি গোডাউন সিলগালা করে দেওয়া হয়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, চেয়ারম্যান মো. সাখাওয়াত হোসেন রনি গত ১ জুন এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন পান। ওই সময় উচ্চ আদালত জামিন দেওয়ার পাশাপাশি মামলাটি নিম্ন আদালতে শুনানির জন্য নির্দেশ দেন। উচ্চ আদালতের আগাম জামিন শেষ হয় চলতি মাসের ১২ তারিখে।

চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রনজিৎ রায় চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, মামলার নিয়মিত তারিখে রনি স্বেচ্ছায় আদালতে হাজির হন। মামলাটি শুনানি হয়। জেলেদের খাদ্য সহায়তার ৮২ বস্তা (৪.১ মেট্রিকটন) চাল আত্মসাৎ করার কারণে বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. জহিরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল মামুন, অ্যাডভোকেট আহসান হাবীব ও অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন পাটওয়ারী।

এদিকে গত ১৮ মে জেলেদের ৪৯.৬০ মেট্রিকটন চাল দুটি গোডাউনে সিলগালা অবস্থায় থাকায় নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়। যার কারণে চলতি মাসের ১৪ তারিখে জেলেদের মানবিক দিক বিবেচনা করে আদালতের নির্দেশে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী ও মামলার বাদী সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান এবং ইউপি সদস্যদের উপস্থিতিতে বিতরণ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২২
এসআই


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।