ঢাকা: দেশের জাতীয় প্রতীক দিয়ে কোনো শিল্প-নকশা করা যাবে না। আর নকশা করা হলেও মালিকানা স্বত্ত্ব মিলবে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (২৫ জুলাই) অনুষ্ঠিত ভার্চ্যুয়ালি মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ কথা জানান।
তিনি বলেন, খসড়া আইনটি কিছুদিন আগে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। আইপিআর (মেধা সম্পত্তি অধিকার) কর্মসূচির আওতায় ডাব্লিউআইপিও (ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশন) কর্তৃক এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর জন্য মেধা সম্পদ যাতে সংরক্ষণ করা যায় সেজন্য একটা মডেল ল করা দরকার। তার জন্যই আমাদের ১৯১১ সালের যে প্যাটেন্ড অ্যান্ড ডিজাইন অ্যাক্ট ছিল সেটাকে আধুনিক করে নেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কতিপয় শিল্প নকশা এই আইনের অধীনে সুরক্ষা পাবে। আবার কিছু কিছু পাবে না। অনিবন্ধিত কোনো কিছুর নকশা থাকে, এটার রেজিস্ট্রেশন করলাম না কিন্তু শিল্প চালাচ্ছি, মুনাফা করছি। তখন অন্য কেউ যদি এটা করে, তখন সে দরখাস্ত দিতে পারবে না। কারণ, তুমি তো রেজিস্ট্রেশনই করোনি।
খসড়া আইন অনুযায়ী জাতীয় প্রতীকের সমন্বয়ে গঠিত কোনো শিল্প নকশার মালিকানা স্বত্ত্ব দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি বলেন, যেমন- শাপলা ফুল দিয়ে কেউ একটা নকশা করে বললো এটা আমার প্রোপার্টি রাইট (স্বত্ত্ব), এটা (স্বত্ত্ব) দেওয়া হবে না। কেউ বাঘ দিয়ে, কাঁঠাল দিয়ে নকশা করলো, সেটা হবে না। কারণ এগুলো আমাদের জাতীয় নকশা।
‘পাশাপাশি কোনো শিল্প নকশার স্বত্ত্বাধিকারী তার নিবন্ধিত শিল্প নকশা অন্য কোনো ব্যক্তি কর্তৃক ব্যবহার করা হতে নিবৃত্ত করার অধিকার থাকবে। আমি যদি সঠিকভাবে কোনো নকশার স্বত্ত্ব নিই, তবে কেউ সেটা ব্যবহার করতে চাইলে অনুমতি নিতে হবে। ’
কোনো ব্যক্তি চাইলে খসড়া আইন অনুযায়ী তার শিল্প-নকশা বাতিল করারও অধিকার পাবেন বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, ২৫ জুলাই, ২০২২
এমআইএইচ/এসআইএস