ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ আষাঢ় ১৪৩১, ১৮ জুন ২০২৪, ১০ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

খুলনায় ডিজিটাল ট্রাফিক সাইন সিগন্যাল স্থাপনসহ ৫ দফা দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০২২
খুলনায় ডিজিটাল ট্রাফিক সাইন সিগন্যাল স্থাপনসহ ৫ দফা দাবি

খুলনা: খুলনায় ডিজিটাল ট্রাফিক সাইন ও সিগন্যাল স্থাপনসহ ৫ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (৭ আগস্ট) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ৫ দফা বাস্তবায়নের দাবি জানায় `নিরাপদ সড়ক চাই’ (নিসচা) খুলনা মহানগর শাখা।

দাবিগুলো হলো- নগরীর সব সড়কে ডিজিটাল ট্রাফিক সাইন ও সিগন্যাল স্থাপন। ফুটপাত দখল মুক্তকরণ। সড়কে ইট-বালু ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। রিক্সা-ইজিবাইক চালকদের ট্রাফিক প্রশিক্ষণ এর ব্যবস্থা করতে হবে। অবৈধ ইজিবাইক, লাইসেন্সবিহীন থ্রি-হুইলার, মাহেন্দা, টলি, এবং ইঞ্জিন চালিত রিক্সা বন্ধ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিসচার উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম।

এ সময় তিনি বলেন, ট্রাফিক সাইন, রাস্তায় গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে দেশের তৃতীয় বৃহৎ নগরী খুলনার সড়কে ট্রাফিক সাইন নেই। অথচ সড়ক দুর্ঘটনারোধে এটি একটি কার্যকর ব্যবস্থা। বর্তমান সরকার সারাদেশে বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং এর সুফল জনগন পাচ্ছে। সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। এ আইন যথাযথভাবে প্রয়োগ করার আগে খুলনা নগরীতে ট্রাফিক সাইন সিগন্যাল স্থাপন অত্যন্ত জরুরি। এটি বাস্তবায়ন হলে জনগণ ট্রাফিক আইন মান্য করার সুযোগ পাবে। নগরীতে ট্রাফিক সাইন-সিগন্যাল স্থাপন না করে সড়ক দুর্ঘটনারোধে স্পিড ব্রেকারের নগরীতে পরিণত করা হয়েছে। অপরদিকে সড়ক ও জনপথের অপরিকল্পিত কার্মকান্ডে দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। রুপসা ব্রিজ পাইপাস সড়কে তারা মানুষের চলাচলের পথ বন্ধ করে সড়ক দুর্ঘটনারোধ করার অপচেষ্টা করা হয়েছে এবং স্পিডব্রেকার নির্মাণ করা হয়েছে। একটি মহাসড়কে যা কোনো ভাবেই কাম্য নয়। তাদের এসব কর্মকান্ড জনদুর্ভোগের কারণ। একই সঙ্গে সওজ নগরীর শের-এ বাংলা রোডের নির্মাণ কাজও শেষ করতে পারেনি। দীর্ঘ একযুগেও রূপসা-শিপইয়ার্ড সড়ক সংষ্কার করতে পারেনি কেডিএ। নগরবাসী এসব ভোগান্তি থেকে মুক্তি চায়।
অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, খুলনা সিটি কর্পোরেশন  (কেসিসি) এবং খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) উদ্যোগ নিলে এটি দ্রুত বাস্তবায়ন সম্ভব। রিক্সা-ইজিবাইক চালকদের ট্রাফিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা কেসিসি এবং কেএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের সমন্বয়নে নিসচা এবং গ্রাস রুটস্ অর্গানাইজেশন ফর টেকনোলজিক্যাল ইনিশিয়েটিভ বাস্তবায়ন করতে ইচ্ছুক। খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসকল্পে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং ট্রাফিক আইন-কানুন মেনে চলা গুরুত্ত্বপূর্ণ।

অবিলম্বে খুলনা মহানগরীতে ডিজিটাল ট্রাফিক সাইন ও সিগন্যাল স্থাপনসহ ৫ দফা বাস্তবায়ন করা হোক- এ দাবি খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মাসুদুর রহমান ভূঞার কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।

নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি এস এম ইকবাল হোসেন বিপ্লবের সভাপতিত্বে ও খুলনা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মুন্নার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন নিসচার উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শ্যামল সিংহ রায়, ওয়ার্কার্স পার্টির খুলনা মহানগর সভাপতি শেখ মফিদুল ইসলাম, নগরিক সমাজের সদস্য সচিব বাবুল হাওলাদার, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল, নিসচার সহ-সভাপতি শেখ মো. নাসিরউদ্দিন প্রমুখ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, নিসচার সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. রকিবউদ্দিন ফারাজী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারহানা চৌধুরী কনিকা, মহিলা সম্পাদক শিরিনা পারভীন, কার্য্নির্বাহী সদস্য মো. আবু মুছা, মো. শামীম হোসেন, মাহমুদা আক্তার লিজা, তানিয়া সুলতানা, কামাল হোসেন, মফিজ আহমেদ মজুমদার প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০২২
এমআরএম/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।