ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

ঢাকার বাইরে কাঁচাবাজার নির্মাণের জন্য জমি খোঁজা হচ্ছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২২
ঢাকার বাইরে কাঁচাবাজার নির্মাণের জন্য জমি খোঁজা হচ্ছে

ঢাকা: রাজধানীর ভেতরে গাড়ির চাপ কমাতে নতুন করে কাঁচাবাজার নির্মাণের জন্য ঢাকার বাইরে কাছাকাছি স্থানে জমি খোঁজা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ফজলে নূর তাপস।  

বুধবার (১০ আগস্ট) সকালে রাজধানীর সায়েদাবাদ কেন্দ্রীয় মোটর গ্যারেজ ও বাস টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর প্রচুর সংখ্যক মালবাহী ট্রাক ঢাকায় আসছে, সেগুলো রাখার জায়গা নেই্। পদ্মা সেতু করার সময় একটি প্রস্তাব ছিলো এগুলো ব্যবস্থাপনার জন্য ঢাকায় কাঁচাবাজার করা হবে।  সেটার অবস্থা কোন পর্যায়ে জানতে চাইলে দক্ষিণ সিটি মেয়র বলেন, নতুন করে কাঁচাবাজার নির্মাণের যে কথা বলা হয়েছে, সেগুলো আমরা ঢাকার অদূরে করতে চাচ্ছি। ঢাকার বাইরে এজন্যই করা হবে যাতে ভেতরে চাপ কম আসে। এলক্ষ্যে আমাদের মন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি সভা হয়েছে।  

তিনি বলেন, কাঁচাবাজার নির্মাণের জন্য আমরা জমি খুঁজছি। রাজউক যে বিষদ অঞ্চল পরিকল্পনা করেছে সেটা আমরা পর্যালোচনা করছি। তাদের সঙ্গে বসে আমরা একটা জায়গা নির্ধারণ করবো। যেমন করে আমরা আন্তজেলা বাস টার্মিনালের জন্য জায়গা নির্ধারণ করেছি। তেমনি ড্যাপের আওতায় বৃহৎ পরিসরে কাঁচাবাজারের জন্য জায়গা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। সেখানেই আমরা কাঁচাবাজার নির্মাণের কার্যক্রম হাতে নেবো।

সরকারের নানা বড় বড় উন্নয়নমূলক প্রকল্পে বিনিয়োগ করছে, প্রকল্প বাস্তায়ন হচ্ছে। কিন্তু জনসচেতনতার অভাবে সেসব কার্যক্রম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, সে বিষয়ে আপনার কোনো পরামর্শ আছে কিনা জানতে চাইলে ফজলে নূর তাপস বলেন, আমাদের অবকাঠামোগুলোতে অযথা পোস্টার বিজ্ঞাপন লাগানোসহ নানাভাবে উন্নয়ন কাজগুলো নষ্ট করা হচ্ছে। এখানে জনগণের সচেতনতাই মুখ্য, আমরা আশা করবো জনগণ এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকবে। আমাদের আইন রয়েছে, সেটা আমরা প্রয়োগ করি না। তবে ভবিষ্যতে হতে পারে।  

তিনি বলেন, আমাদের বর্তমানে মূল লক্ষ্য অবকাঠামো নির্মাণে কোনো ঘাটতি রয়েছে কিনা সেদিকে নজর দেওয়া। আমরা এখন লক্ষ্য রাখছি জনগণের আশা আকাঙ্খা পূরণ করতে পারছি কিনা। এটা যখন পূরণ করতে পারবো, তখন আমরা উৎকর্ষতা কিভাবে সাধন করা যায় সেদিকে নজর দেবো।  

এ সময় সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, পরিবহন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকার, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী বোরহান উদ্দিন, অঞ্চল-৫ এর নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম জয়সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২২
জিসিজি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।